কল্যাণের চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করে শ্রীরামপুর যাচ্ছেন সুকান্ত
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন '২৬-এ (Election)। তার আগে এখন থেকেই বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এসআইআর (SIR) ইস্যুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তেজনা দেখা দিল। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) এমনই কড়া সুর, যেখানে তুই তোকারি পর্যন্ত জল গড়িয়েছে। পাল্টা জবাবও দিতে ছাড়েননি সুকান্ত। কল্যাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তিনি আগামিকালই শ্রীরামপুর যাওয়ার ঘোষণা করেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত এক সভায় বলেছিলেন, “এসআইআর নিয়ে কোনও গন্ডগোল হলে রাস্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে, গুলি চলবে।” এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা কল্যাণও। তিনি বলেন, একটা ভোটারকে বাদ দিয়ে দেখুক না নির্বাচন কমিশন, স্তব্ধ করে দেব। ওই যে ছোঁড়াটা যে মন্ত্রী হয়েছে, দেখ না সিআইএসএফ যে গুলি নিয়ে চলে... ওই গুলি ওর বুকে লেগে যাবে। ওর মস্তানি বের করে দেব। বাংলা মানুষকে চিনিস না... দু'চারটে সুকান্ত হাওয়া দিয়ে উড়ে যাবে। আয় তুই শ্রীরামপুরে! তারপর তুই ঘরে ফিরে যাস কীভাবে দেখব!
কল্যাণের উত্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়ে সুকান্তও শ্রীরামপুরে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, “একজন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এর থেকে বোঝা যায় ওঁর মানসিক স্থিতি কী আছে! অবসরেরও বয়স পার হয়ে গেছে। এঁদের এখন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো উচিত। আমি ওঁর চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি, আমি কালই যাচ্ছি ওঁর এলাকায়। দেখি না কী করে! কত বড় বাপের ব্যাটা হয়েছে দেখব।”
লোকাল জনসমর্থন, কেন্দ্রীয়-রাজ্য রাজনৈতিক টানাপড়েন, এবং নিরাপত্তা সংস্থার সম্ভাব্য ভূমিকা, এই বাগযুদ্ধে দু'পক্ষই নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।