শীত পড়তেই কমলালেবুর সুঘ্রাণ! নাগপুরের লেবুর দাপট মালদহের বাজারে |
৬ ঘণ্টা পরেও দাউদাউ এজরা স্ট্রিট! ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর বললেন, ২২ বার আগুন লেগেছে! কাকে বলিনি?
৬ ঘণ্টা পরেও দাউদাউ এজরা স্ট্রিট!
লালবাজারের পাশেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কেঁপে উঠল এজরা স্ট্রিট (Ezra Street fire incident)। শনিবার ভোর ৫টায় একটি ইলেকট্রিক দোকানের দ্বিতীয় তলা থেকে ওঠা ধোঁয়া মুহূর্তে দাউদাউ আগুনে রূপ নেয়। ৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও শিখার দাপট কমেনি।
দমকলের ২০টি ইঞ্জিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের একাধিক দোকান ও বাড়িতে। ক্ষতির অঙ্ক কয়েক কোটি ছাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা।
অগ্নিকাণ্ডে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০০টিরও বেশি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত, আর সেই ক্ষয়ক্ষতির দায় নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন স্থানীয় কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক (Councilor questions about fire department's role)। আগুন নেভানোর দমকলের দক্ষতা নিয়েই এ দিন ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিনি
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ, “২২ বার আগুন লেগেছে! কাকে বলিনি? কারও টনক নড়ল না”।
ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর এও বলেন, “এটা ঘিঞ্জি এলাকা। আগুন লাগার ঝুঁকি নিয়ে বহুবার দমকল, কমিশনার অব পুলিশ— সবাইকে লিখেছি। অথচ কোনও সাড়া নেই। কাগজ আমার কাছেই রয়েছে। যে বাড়িতে আজ আগুন লেগেছে, সেখানে এর আগে ২২ বার আগুন লেগেছে। কিছুই ঠিকঠাক হয়নি।”
কাউন্সিলরের মতে, দমকল যদি দ্রুত ও সঠিকভাবে কাজ করত, আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়ত না। আমার সামনে এক ঘণ্টার মধ্যেই উল্টো দিকের ৩২ নম্বর বাড়িতেও আগুন ঢুকে গেল— যেখানে লাগার কথাই নয়!কাউন্সিলরের কথায়, প্রশাসনের গাফিলতিতে আজ একের পর এক দোকান ভস্মীভূত।
এজরা স্ট্রিটের সরু গলি দমকলের প্রধান বাধা। একটি ইঞ্জিন ঢুকলেই আরেকটি ঢোকার জায়গা থাকে না। অধিকাংশ বাড়ির ছাদ টিনের— তাপ বাড়লে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। দোকানগুলিতে মজুত দাহ্য সামগ্রী, তার উপর একাধিক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ— সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
দমকল কর্মীরা গ্যাস কাটার নিয়ে দেওয়াল কেটে কেটে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই যে কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।