বড়দিনের পার্টিতে নলেন গুড়ের ব্রাউনি দিয়েই মিষ্টিমুখ! অতিথিদের মন জিততে জেনে নিন সহজ রেসিপি |
নতুন খনির লিজে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা! আরাবল্লিকে 'বাঁচাতে' বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র
নতুন খনির লিজে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা
আরাবল্লি পর্বতমালা (Aravalli Range) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। স্পষ্ট বলা হয়েছে, শীর্ষ আদালতের রায়কে অনেকেই বুঝতে ভুল করেছেন। একই সঙ্গে স্পষ্ট করা হয়, এই পর্বতমালার সংরক্ষণ নিয়েই আদালত জোর দিয়েছে, কোনওভাবেই তার ক্ষয় বা খননের পক্ষে সওয়াল করা হয়নি। বুধবার আরাবল্লি নিয়ে অবস্থান আরও পরিষ্কার করে দিল কেন্দ্র।
আরাবল্লি পাহাড় রক্ষায় কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি থেকে গুজরাত পর্যন্ত বিস্তৃত আরাবল্লি পর্বতমালায় (Aravalli Range) নতুন করে কোনও খনির লিজ (Mining Ban) দেওয়া যাবে না - এমনই নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক (MoEF&CC)।
সম্প্রতি আরাবল্লি পাহাড়ের সংজ্ঞা ও বিস্তৃতি নিয়ে নতুন নিয়ম ঘোষণাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তার মধ্যেই আজ এই বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অবৈধ খনন বন্ধ করা এবং আরাবল্লির পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দিল্লি থেকে গুজরাত (Delhi to Gujarat) পর্যন্ত বিস্তৃত পুরো আরাবল্লি পর্বতমালাকে (Aravalli Range) অবৈধ খননের হাত থেকে রক্ষা করতে সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে - নতুন কোনও খনির লিজ দেওয়া যাবে না।” এই নিষেধাজ্ঞা আরাবল্লির পুরো ভূখণ্ড জুড়েই কার্যকর হবে বলে স্পষ্ট করেছে মন্ত্রক। কেন্দ্রের মতে, অনিয়ন্ত্রিত খননের ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে (ভূগর্ভস্থ জলস্তরের পতন, বনাঞ্চল ধ্বংস ও মরুকরণের ঝুঁকি) তা ঠেকাতেই এই কঠোর অবস্থান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আরাবল্লি উত্তর ভারতের পরিবেশগত ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলের বায়ুপ্রবাহ, জলধারণ এবং মরু বিস্তার রোধে এই পাহাড়শ্রেণির অবদান অপরিসীম। ফলে নতুন খনন বন্ধের সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ সুরক্ষায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (FSI) তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আরাবল্লিতে প্রায় ১০ হাজার খনন কার্যকলাপ এই পর্বতমালাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সেন্ট্রাল এমপাওয়ার্ড কমিটি (CEC) এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইলেও, কেন্দ্রের যুক্তি - রাজস্থানে রিচার্ড বারফি গাইডলাইন অনুযায়ী ১০০ মিটারের বেশি উচ্চতার গঠনগুলিকেই আরাবল্লির অংশ হিসেবে ধরা হয়।
কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব অবশ্য আরাবল্লিকে ঘিরে বিতর্কিত ‘১০০ মিটার’ (100 Meters) সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, এটি কোনও এলাকা বাদ দেওয়ার কৌশল নয়। পাহাড়ের চূড়া থেকে পাদদেশ পর্যন্ত উচ্চতার মাপ হিসেবেই এই মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, এনসিআর এলাকায় কোনও ধরনের খননের অনুমতি নেই।