হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন, স্পষ্ট করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর |
মসজিদ নির্মাণে লাগছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা! কারা দিচ্ছেন, জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন
মসজিদ নির্মাণে লাগছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা
বেলডাঙা–রেজিনগরজুড়ে তখন টানটান নিরাপত্তা (Humayun Kabir)। এলাকায় র্যাফ, বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী, টহলদারি, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প— সব মিলিয়ে মরাদিঘি এলাকায় যেন ছিল যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি। এই সাজসজ্জার মধ্যেই সেখানে হয়ে গেল বহু বিতর্ক তৈরি করা বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠান। আর সেখানের মধ্যমণি হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir Babri Masjid News)।
শনিবার মসজিদ (Babri Masjid) নির্মাণ ঘিরে তোলা প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন বলেন, “মসজিদ তৈরিতে টাকার কোনও সমস্যা হবে না। রাজ্যের প্রায় সব জেলা থেকেই মানুষ নিজে থেকে টাকা দেবেন।” এদিন তিনি আরও চমকে দিয়ে দাবি করেন— একটি সংস্থা ইতিমধ্যেই ৮০ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, যদিও সেই সংস্থার নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি (Murshidabad News)।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘু ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল ক্রমশ মুসলিম প্রার্থী কমাচ্ছে। ৯০টি সংখ্যালঘু প্রধান আসনে মুসলিম প্রার্থীদের জেতান।” শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, “২০১১ সালে তৃণমূলের মুসলিম বিধায়ক ছিলেন ৬৭ জন। ২০১৬-তে কমিয়ে ৫৭। আর ২০২১-এ নেমে এল ৪৪-এ।”
আগামী সোমবার মুর্শিদাবাদ থেকেই নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করতে চলেছেন হুমায়ুন। সেই দল একাধিক আসনে প্রার্থী দেবে বলে ইঙ্গিত রেখে তাঁর মন্তব্য, “২৯৪ আসনের মধ্যে ২০৪-এ মমতা–শুভেন্দুর লড়াই হোক। তাঁরা সরকার চালান। আমরা বিরোধী আসনে বসে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসেব কষব।”
শিলান্যাস মঞ্চে বড় ঘোষণা
রেজিনগরের সভায় হুমায়ুন কবীর জানান,
- ৩ কাঠা জমিতে তৈরি হবে মূল মসজিদ।
- ২৫ বিঘা জমির বিশাল চত্বরে গড়ে উঠবে হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভাস্থলে গিয়ে সাসপেন্ড হওয়ার খবর কথা জানতে পেরে মুহূর্তেই সভা থেকে বেরিয়ে যান হুমায়ুন। এই মসজিদ নির্মাণের ইস্যুকে কেন্দ্র করেই দলে অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তিনি। এর মাঝেই ৬ ডিসেম্বর বেলেডাঙায় মসজিদের শিলান্যাসের কর্মসূচি ঘিরে ওঠে বিতর্ক। অভিযোগ ছিল, এই উদ্যোগে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে পারে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালতে গড়ায় মামলা।
তবে হাইকোট স্পষ্ট করেছে, মসজিদ নির্মাণ অসাংবিধানিক নয়, তাই কর্মসূচিতে কোনওভাবেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের প্রশাসনের। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কর্মসূচি বন্ধ করার কোনও যুক্তি নেই।