শতদ্রুকে জেরায় সামনে এল ১০০ কোটির অঙ্ক!
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের (Press Trust of India) রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারী বিশেষ দলকে (SIT)জানিয়েছেন—মেসিকে এই সফরের জন্য দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি ভারত সরকারকে কর বাবদ আরও ১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে সাকুল্যে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১০০ কোটিতে।
এই বিপুল অঙ্কের উৎস নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন দত্ত (Satadru Dutta Lionel Messi)। তাঁর দাবি, মোট খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ এসেছে স্পনসরদের কাছ থেকে। বাকি ৩০ শতাংশ জোগাড় হয়েছে টিকিট বিক্রি করে। সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে (Salt Lake Stadium) মেসিকে একঝলক দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শক চড়াদামের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু মাঠে বিশৃঙ্খলা শুরু হতেই সেই উত্তেজনা ক্ষোভে বদলে যায়। ভাঙচুর হয় গ্যালারির চেয়ার, লণ্ডভণ্ড গোটা অনুষ্ঠান।
ভেঙে পড়া নিরাপত্তা
তদন্তে শতদ্রু আরও একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, শুরুতে মাত্র ১৫০টি গ্রাউন্ড পাস ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন এক ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি’ স্টেডিয়ামে পৌঁছন। তাঁর হস্তক্ষেপেই পাসের সংখ্যা হঠাৎ তিনগুণ হয়ে যায়। এর ফলেই ভেঙে পড়ে পুরো নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা।
এখন পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এই অতিরিক্ত প্রবেশাধিকারই মাঠে দর্শকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার মূল কারণ কি না। তদন্তকারীদের কাছে শতদ্রুর বক্তব্য, মেসির (Satadru Dutta Lionel Messi) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিদেশি সংস্থার তরফে আগেই জানানো হয়েছিল—পিছন থেকে ছোঁয়া বা জড়িয়ে ধরা মেসি একেবারেই পছন্দ করেন না। কিন্তু বারবার মাইকে অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও মাঠে থাকা কেউই ‘সংযম’ দেখাননি।
অরূপ বিশ্বাসের ভূমিকা ও তদন্তের অভিমুখ
এই ঘটনায় রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Aroop Biswas) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনুষ্ঠানের সময় তাঁকে মেসির খুব কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয় ও পরিচিতদের মাঠে ঢোকার সুযোগ করে দেন তিনি। চাপ বাড়তেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ান অরূপ।
বর্তমানে সিট (SIT) খতিয়ে দেখছে—কীভাবে এতজন মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়ল, কার নির্দেশে প্রবেশপত্র বাড়ানো হল, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতার দায়-ই বা কাদের? ১০০ কোটির সফর শেষে প্রশ্নটা তাই শুধু অর্থের নয়—দায়িত্ব আর জবাবদিহিরও।