বড়দিনের পার্টিতে নলেন গুড়ের ব্রাউনি দিয়েই মিষ্টিমুখ! অতিথিদের মন জিততে জেনে নিন সহজ রেসিপি |
'এটাকে পশ্চিম-বাংলাদেশ বানাতে চাইছে সরকার, তাই ছুট দিয়ে রেখেছে', বিস্ফোরক মিঠুন
রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন
বাংলাদেশ কাণ্ডের (Bangladesh Issue) প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ (Police Lathicharge) থেকে শুরু করে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে (Lagnajita Chakraborty) গান গাইতে বাধা দেওয়ার ইস্যু - মুখ খুলে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁর স্পষ্ট মত - এই সরকার চাইছে পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম-বাংলাদেশ (West Bangladesh) বানাতে, তাই দুষ্কৃতীদের খোলা ছুট দিয়ে রেখেছে।
চন্দননগরের (Chandannagar) সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সবার প্রথমেই মিঠুন বলেন, ''আজকে মনটা ভাল নেই। খালি মনে হচ্ছে, বাংলায় আছি, না বাংলাদেশে! ওপারে কেউ হারমোনিয়াম কেড়ে নিচ্ছে, এপারে মায়ের গান গাওয়ার জন্য বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ, এখানকার সরকার ছুট দিয়ে রেখেছে, বলেছে যে যা খুশি করতে পারে, কেউ বাধা দেবে না!
মিঠুনের কথায়, তাঁরা কোনও ভারতীয় মুসলমানদের (Indian Muslims) বিরুদ্ধে নন। যারা দেশের জন্য ভাবে, দেশকে ভালবাসে, তাঁদের বিরুদ্ধে নন। বিজেপি সেইসব মুসলমানদের বিরুদ্ধে যারা দেশের ক্ষতি চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, এঁরা এই ধরনের লোকদেরই ছুট দিয়ে রেখেছে। আসলে বাংলাকে তাঁরা পশ্চিম-বাংলাদেশ তৈরি করতে চায়।
বাংলাদেশের হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসের (Dipu Chandra Das) হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার বেকবাগানে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছিল। সেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই প্রসঙ্গেই মিঠুন গর্জে উঠে বলেন - বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদও কি করা যাবে না বাংলায়? এখানেও পুলিশ দিয়ে হিন্দুদের মারা হচ্ছে। স্পষ্ট হচ্ছে যে, সোজা ভাষায় সরকার বলে দিচ্ছে - যা মন চায় তাই করুন, কেউ আটকাবে না। আমরা বাংলাদেশে পক্ষে!
মিঠুনের হুঙ্কার - যতদিন এই শরীরে এক বিন্দু রক্ত আছে, কেউ এই বাংলাকে বাংলাদেশ বানাতে পারবে না। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে (TMC Govt) নিশানা করে তিনি এও বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সময় বদলাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত বিজেপি কর্মী এবং যারা অ-রাজনৈতিক সাধারণ মানুষ, সকলকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে