সবজির মোড়কে শীতের জাদু, বাঁধাকপি-ফুলকপির রোলে মন ভাল করা স্ন্যাক্স |
যুবভারতীতে ঢুকতে পারলেন না রাজ্যপাল! গেটের বাইরে থেকেই বলে গেলেন, 'সত্যকে চেপে রাখা যাবে না'
যুবভারতীতে ঢুকতে পারলেন না রাজ্যপাল!
মেসির কলকাতা সফর (Messi Kolkata Tour) ঘিরে শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuva Bharati Krirangan) এক চরম বিশৃঙ্খলার ছবি দেখল গোটা বাংলা। টাকা খরচ করে টিকিট কেটেও ফুটবল তারকাকে দেখতে না পাওয়ায় শুরু হয় অশান্তি। বাধ্য হয়ে দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই মাত্র ১৫ মিনিটে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান মেসি। এরপর চলে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা। বিকেলে যুবভারতী পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (HG Anand Bose)। কিন্তু ভিতরে যেতে পারলেন না, অগত্যা বাইরে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই ফিরে যেতে হল তাঁকে।
সল্টলেক স্টেডিয়ামে (Saltlake Stadium) যে চরম বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে এসেছে, তাতে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গোটা ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতা, চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের হয়রানির অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে একাধিক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের (CV Anand Bose) মতে, এই দিনটি কলকাতার ফুটবলপ্রেমী মানুষের জন্য 'একটি অন্ধকার দিন'।
রাজ্যপাল বলেন, "এই বিশৃঙ্খলার জন্য কে দায়ী সেই জবাব রাজ্যকে দিতে হবে। রাজ্যপাল মানে কেবল রাবার স্ট্যাম্প না। বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।" আরও বলেন, "আমি ঢুকতে না পারলেও সত্য লুকিয়ে রাখা যাবে না।"
এদিন দুপুরে যুবভারতীর ঘটনার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের আয়োজক ও স্পনসরদের চরম অব্যবস্থাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তবে শুধু আয়োজকরাই নয়, তাঁর মতে পুলিশও তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও, তাঁর পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। যথাযথ পরিকল্পনা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও আগাম প্রস্তুতির অভাবেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় বলে রাজ্যপালের অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ঘটনার আগের দিনই লোকভবনে আসা বহু অভিযোগের কথা জানিয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্যপাল স্পষ্ট করে বলেন, সাধারণ মানুষের আবেগ ও সম্মানের সঙ্গে এমন আচরণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।