৫ লক্ষ রসগোল্লা বনাম ৫০০ কেজি লাড্ডু, বিহারে ফলপ্রকাশের আগে মিষ্টি বিতরণে টানটান লড়াই |
ট্রাজিক নায়ক তেজস্বী, মহাজোটের বিপর্যয়েও যাদবকুলের ‘তেজ’ ধরে রাখলেন মহাযুদ্ধের ঘোড়া
ট্রাজিক নায়ক তেজস্বী
বিহার বিধানসভা ভোটের ট্রাজিক হিরো তেজস্বী যাদব। দিনভর ব্যাপক টানাপড়েনের পর শেষমেশ ১১ হাজার ভোটে জয় ছিনিয়ে এনেছেন তেজস্বী। কিন্তু, তাঁর নেতৃত্বে মহাগাঁটবন্ধন একেবারে ধসের মুখে পড়েছে বিহারে। মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন লালুপ্রসাদ-রাবড়ি দেবীর পুত্র। বাবা-মা দুজনেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ, এবার শেষ ফলে শেষ হাসি হেসেছে নীতীশ-মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই। সেই সব দিক থেকে তেজস্বী যাদবই হলেন, পাটলিপুত্র মহাযুদ্ধের একমাত্র করুণরসের নায়ক।
রাঘোপুর আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল প্রথম দফায়। ভোট পড়েছিল ৬৪.০১ শতাংশ। ভারতীয় জনতা পার্টি এই আসনে প্রার্থী করেছিল একদা রাবড়ি দেবীকে পরাস্ত করা প্রার্থী সতীশকুমার যাদব। জন সুরজ প্রার্থী ছিলেন চঞ্চল সিং। দিনভর তেজস্বী বেশ কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন সতীশ যাদবের থেকে। দশম রাউন্ডের পর থেকে চিত্রটা বদলাতে শুরু করে।
রাঘোপুর বরাবরই যাদব পরিবারের খাসতালুক। অতীতে এই কেন্দ্র থেকেই জিতে এসেছেন লালুপ্রসাদ যাদব ও রাবড়ি দেবী। এবারে জন সুরজ পার্টি তেজস্বীর জয়ের পথে প্রথম থেকেই কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তবে তেজস্বীর সবথেকে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে মহাজোটের মহা পরাজয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাজোট মাত্র ৩৩টি আসনে জয় পেয়েছে বা এগিয়ে রয়েছে। মাত্র ২৩টি রয়েছে আরজেডির দখলে। তার থেকেও করুণ দশা কংগ্রেস ও বামেদের।
অথচ গোড়া থেকেই তেজস্বী এবার সরকার বিরোধী জোর প্রচার চালিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভোট অধিকার যাত্রা করেছেন। সে সময় বিপুল জনসমর্থন পেয়েছেন দুজনে। তা সত্ত্বেও শুক্রবার দিনের শেষে সূর্য ডুবে গিয়েছে মহাজোটের। শেষ পর্যন্ত দাঁত কামড়ে লড়াই চালিয়েও সরকার বদল করতে ব্যর্থ হয়েছেন জোট সেনাপতি।
যদিও শুক্রবার সকালে ভোটগণনা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগেও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ এবং দিদি লোকসভা সদস্য মিসা ভারতীকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে বলেন, আমরা জিততে চলেছি। সকলকে ধন্যবাদ। পরিবর্তন আসতেই চলেছে। আমরা সরকার গড়তে চলেছি।