কোমর জলে নেমে শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মেয়র, ছাতা দিয়ে সাফ করলেন রাস্তার জঞ্জালও |
কোমর জলে নেমে শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মেয়র, ছাতা দিয়ে সাফ করলেন রাস্তার জঞ্জালও
কোমর জলে নেমে শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মেয়র
'এমন দুর্যোগ আগে দেখিনি!' টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার (Waterlogged Kolkata) অবস্থা দেখে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। জল জমার অন্যতম কারণ যে রাস্তায় ময়লা বা আবর্জনা ফেলা, সেটাও কার্যত স্বীকার করেছেন মেয়র। তাই চেতলায়, তাঁর নিজের এলাকাতেই তাঁকে রাস্তার জঞ্জাল সাফ করতে দেখা গেল।
ছাতা নিয়ে রাস্তায় জমা নোংরা পরিষ্কার করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। চেতলাতেই (Chetla) ধরা পড়ে এই দৃশ্য। ফিরহাদের কথায়, সাধারণ মানুষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। এভাবে রাস্তায় আবর্জনা ফেললে ড্রেন বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রবল বৃষ্টি হলে জল যাওয়ার জায়গা থাকে না। কাজেই আরও জল জমে যায়। তবে তিনি আশাবাদী, আর বৃষ্টি না হলে রাত ১০টার মধ্যেই জল নেমে যাবে শহরের রাস্তা থেকে।
রাজ্য সরকার তথা কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের মত, আজ কলকাতার এহেন পরিস্থিতির জন্য দায়ী পুরসভাই। তাঁরা কোনও কাজ করেনি। তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট কথা - এটা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা পুরসভার নেই।
মেয়র বলেন, “এরকম মেঘভাঙা বৃষ্টি (Kolkata Rain Today) আমি কোনওদিন কলকাতায় দেখিনি। আমি এই শহরেই জন্মেছি, বড় হয়েছি। খবরের কাগজে পড়েছিলাম উত্তরাখণ্ড বা কাশ্মীরে এভাবে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কলকাতায় ৩০০ মিমির বেশি বৃষ্টি এর আগে হয়নি।” এমন কথা বলে কার্যত হাত তুলে নিয়েছেন মেয়র। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, গঙ্গায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে, নিকাশি খালগুলিতেও জল কানায় কানায় ভর্তি। ফলে খালে জল ফেলা হলেও তা আবার শহরের মধ্যেই ফিরে আসছে। বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা পুরসভা আগেই জানিয়েছে, একটুও যদি বৃষ্টি না হয়, তাতেও অন্তত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লেগে যাবে শহরের পরিস্থিতি ঠিক হতে। তার উপর আরও মর্মান্তিক খবর হল, কলকাতাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Kolkata Death) হয়ে মারা গেছেন অন্তত সাত জন। যে কারণে সাবধানী হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, জল না নামা পর্যন্ত সুরক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘরবন্দি মানুষজন বলাবলি করছে, এ যেন সেই পুরনো বন্যার ছবি।