শীতের দাপটে জবুথবু বাংলা, শহর কলকাতায় ভাঙছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড |
তৃণমূলকে জিতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার দায়ভার আপনাদের উপরই, বিএলএ-দের পেপটক অভিষেকের
বিএলএ-দের পেপটক অভিষেকের
রোববার এসআইআরের (SIR West Bengal) দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে দলের এক লক্ষের বেশি নেতা-কর্মীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এসআইআরের প্রথম পর্বে দলের যে বিএলএ-রা (BLA) লেগে থেকে কাজ করেছেন তাঁদের এক প্রকার পেপটক দিয়ে রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (TMC)।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন তৃণমূলের বুথ স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বিএলএ ২-দের (BLA 2) নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করে তিনি আগামী দেড় মাস বিএলও-দের উপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর তিনি স্পষ্ট করে এও জানিয়ে দিয়েছেন, "তৃণমূলকে চতুর্থ বার জিতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার দায়ভার বিএলএ-২ এর হাতেই।"
সূত্রের খবর, বকলমে অভিষেক কমিশনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন “ওদের ষড়যন্ত্র আরও গভীর। অন্তত আরও ছয় সপ্তাহ বিএলও-দের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে হবে বিএলএ-দের। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোন কোন নাম বাদ পড়ছে, তা খুঁটিয়ে দেখতে হবে। ভোট রক্ষা শিবির সক্রিয় রাখতে হবে পুরো সময়টাই।”
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান অভিষেক। তিনি নাকি বলেছেন, রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি ইস্যুতে বিজেপির প্রচারকে কার্যত খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গেই সবচেয়ে কম নাম বাদ পড়েছে— এর পুরো কৃতিত্ব বিএলএ ২-দের। প্রায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার বিএলএ-২ এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে তাঁর অফিস। ৩১ তারিখ দিল্লি গিয়ে কমিশনের কাছে অসঙ্গতির তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হবে।
এসআইআর সংক্রান্ত শুনানিতেও বিএলএ ২-দের আরও সক্রিয় ভূমিকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কথায়, শুনানি শুরু হয়েছে, রোজ ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষকে ডাকা হচ্ছে। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে মাঝপথে চলে যাচ্ছেন, তাতেই নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যারা শুনানিতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য ক্যাম্পের ব্যবস্থা করতে হবে। শুনানির প্রতিটি ধাপে বিএলএ ২-দের উপস্থিত থাকতে হবে। এটা একটা লড়াই। কে কী বলল, তা না ভেবে দায়িত্ব পালন করতেই হবে। কমিশন বাংলার ডিএনএ পরিবর্তন করতে চায়। শেষ রক্ত দিয়ে সেটা রক্ষা করতে হবে। কেউ বাধা দিলে লিখিত নির্দেশিকা চাইবেন। দরকার হলে ভবিষ্যতে আইনি পথেও হাঁটা হবে।