হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন, স্পষ্ট করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর |
বাংলার পাটালি এবার বিলেত ফেরত! এশিয়া–ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে শীতের আঞ্চলিক মিষ্টির ঘ্রাণ
বাংলার পাটালি এবার বিলেত ফেরত!
শীত মানেই বাঙালির রান্নাঘরে খেজুরগাছের ঘ্রাণ, রস ফুটে ওঠার শব্দ আর তারই উপজাত পাটালি গুড়। সেই পুরনো শীতের স্বাদ এবার সীমান্ত পেরিয়ে পা রাখল বিদেশের বাজারেও(UK, Asia and Europe)। বছরের এই মরশুমে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাটালি (West Bengal, Patali) যে এমন জনপ্রিয়তা পাবে, তা ভাবেননি নিজেরাও—বলছেন রাজ্যের গুড় ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের কথায়, “এশিয়ায় তো চাহিদা ছিলই, এবার ইউরোপ থেকেও নিয়মিত অর্ডার আসছে। বিদেশে পাটালির বাজার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।”
এমনকি আন্তর্জাতিক রফতানিকারীদের দাবিও, এবারের মরশুমে পাটালির মান ও স্বাদ বিদেশি ক্রেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
তবে খুশির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের চিন্তাও বাড়িয়েছে এক নতুন ঝামেলা। কারণ, যে ঝোলাগুড় এতদিন পাটালির সঙ্গে জনপ্রিয় ছিল বিদেশের বাজারে, আন্তর্জাতিক বিমানে তা নিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ঝোলাগুড় যেন নিজস্ব সীমান্তেই আটকে পড়েছে। বিদেশি ক্রেতারা তাই তাকিয়েছেন তুলনামূলকভাবে 'সেফ অপশন', পাটালির দিকে।
রফতানিকারীদের দাবি, “গত বছর পাটালি-ঝোলা দুটোই পাঠিয়েছিলাম। এবার নিয়ম বদলে শুধু পাটালিই রফতানি করা যাচ্ছে। ফিনল্যান্ড, দুবাই, সিঙ্গাপুর—ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশ থেকে বড় অর্ডার এসেছে।”
এ সুযোগ তাই হাতছাড়া করতে নারাজ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, জলঙ্গী, ত্রিপুরা–সহ বিভিন্ন অঞ্চলের গুড় উৎপাদকরা। উৎপাদন বেড়েছে, মান নিয়ন্ত্রণে নজর আরও বেশি। কলকাতার পাইকাররা বলছেন, এ বছর ক্রেতার চাহিদা আগে কখনও এত বাড়েনি।
পাটালি যদি আন্তর্জাতিক বাজারে স্থায়ী জায়গা করে নিতে পারে, তাহলে বাংলার সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের এই শীতের মিষ্টি গুড় শিল্পকে খুলে দিতে পারে এক নতুন দিগন্ত। আর সেই পথে প্রথম বড় পদক্ষেপ নিল এই মরশুমেই—বিদেশযাত্রায় ‘বিলেতফেরৎ’ পাটালি গুড়।