হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন, স্পষ্ট করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর |
১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘুরপাক খাবে রাজ্যের তাপমাত্রা! শীত কি বেশিদিন স্থায়ী হবে
তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশপাশেই ঘোরাফেরা করবে বলে পূর্বাভাস
দেখতে দেখতে কলকাতা (Kolkata) সহ রাজ্যজুড়ে (West Bengal) শীতের (Winter) আমেজ। আবহাওয়া দফতরের (Weather Office) পূর্বাভাস, আগামী চার-পাঁচ দিনে রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না। আপাতত যেমন অনুভূতি মিলছে, তেমনই থাকবে।
কলকাতা শহর ও আশপাশের জেলায় ভোরের পারদ (Morning Temperature) নেমেছে প্রায় ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রবিবারও তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশপাশেই ঘোরাফেরা করবে বলে পূর্বাভাস। এদিকে, পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের দাপট আরও বেশি - সেখানকার বহু জায়গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমেছে। কলাইকুন্ডায় স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৪ ডিগ্রি কম পারদ নেমে ঠান্ডা অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে।
জমাট শীত, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা শুষ্ক হাওয়া নিরবচ্ছিন্ন ভাবে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করায় শীতের আবহ বজায় রয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি নীচে। আগামী সাতদিন সম্পূর্ণ শুষ্ক আবহাওয়া - পুনরায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, রবিবার ভোরে পারদ আরও সামান্য নামতে পারে।
কলকাতায় (Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে, যা স্বাভাবিকের নীচে। আপাতত আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভোরে শিশির আর কুয়াশা থাকছে। কোথাও কোথাও কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসতে পারে, বিশেষত উপকূলের দিকের জেলাগুলিতে কুয়াশা বেশি দেখা যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। উত্তরবঙ্গেও শুষ্ক আবহাওয়া, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিংয়ে পারদ ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, মালদায় ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। পরবর্তী চার-পাঁচ দিনেও এই তাপমাত্রাই মূলত বজায় থাকবে।
সব মিলিয়ে বলা চলে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে শীতের অপেক্ষায় ছিল রাজ্যবাসী, সেটাই এখন দাপিয়ে খেলা শুরু করেছে। গোটা নভেম্বর মাস জুড়ে সেইভাবে ঠান্ডা ছিলই না। বহু বাড়িতে রাতেও ফ্যান চলেছে। বাড়ির বাইরেও গভীর রাত বা ভোর ছাড়া শীতের তেমন অনুভূতি ছিল না। কিন্তু আপাতত পরিস্থিতি বদলের পথে।