কী ধনৈশ্বর্য রয়েছে পাতালঘরে
বৃন্দাবনের সুবিখ্যাত বাঁকেবিহারী মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ ধরার বিশারদদের। তাহলে কী সাপ ঢুকেছে বালগোপালের ঘরে! না, ঠিক তা নয়। আজ, ধনতেরসের পুণ্যলগ্নে খুলেছে বাঁকেবিহারী বা ‘ঠাকুরজি’র রত্নাগার। তাও আবার টানা পাঁচ দশক বা ৫৪ বছর পর খুলেছে বাঁকেবিহারীর রত্নভাণ্ডার। যা দেখতে বিপুল জনসমাগম হয়েছে বৃন্দাবনের এই সুপ্রাচীন মন্দিরে।
‘ঠাকুরজি’র এই রত্নকোষের বয়স আনুমানিক ১৬০ বছর। এই রত্নভাণ্ডারের দরজা শেষ খোলা হয়েছিল ৫৪ বছর আগে। এখানে রয়েছে বাঁকেবিহারীকে উৎসর্গ করা সোনা-রুপোর গয়না, সোনার বাসনপত্র এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা। মূল গর্ভগৃহের ঠিক পাশেই পাথরের এই দরজার ভিতরে অসংখ্য কাহিনি ধুলোয় জমে রয়েছে।
ধনতেরসের দিন রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার কথা ঘোষণা করে বাঁকেবিহারী মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর জন্য গঠন করা হয় বিশেষ কমিটিও। যাতে রয়েছেন, মন্দির কর্তৃপক্ষের সদস্য, একজন দেওয়ানি বিচারক, একজন অডিটর এবং পুলিশ কর্তারা। রত্নাগার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর। ১৭ অক্টোবর কমিটির সচিব এবং জেলাশাসক চন্দ্রপ্রকাশ সিং খোলার কথা ঘোষণা করেন।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, একটি দরজা খুলে ভিতরে যাওয়ার পর বহু চেষ্টা করে খোঁজাখুঁজি চলছে। কমিটির সদস্য দীনেশ গোস্বামী জানান, অনেক খুঁজেও এখনও মূল রত্নগারে ঢোকার দরজার সন্ধান মেলেনি। কেউ জানে না, আসল দরজাটি কোথায় আছে। আমরা শুনেছিলাম মাটির নীচে দরজা রয়েছে। যা একটি শিলাখণ্ড দিয়ে চাপা দেওয়া। কিন্তু, কেউ এখনও খুঁজে পায়নি।
ঘরের ভিতরের ধুলোয় আমাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা কয়েকজন বেরিয়ে এসেছি। ওর ভিতরে এত মাটি যে, দেখে মনে হচ্ছে কেউ যেন মাটি ফেলে রেখে গিয়েছে। একটি চার বাই দুই ফুটের খালি বাক্স মিলেছে। কোনও তালাও দেওয়া ছিল না। এর বাইরে কিছুই পাওয়া যায়নি। ভিতরে কোনও হাওয়া প্রবেশের জায়গা নেই। উল্লেখ্য, এই রত্নাগার শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এর ভিতরে বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য শিল্পকর্ম রয়েছে। যেমন- একটি পান্নাখচিত একটি ময়ূর নেকলেস, রুপোর তৈরি শেষনাগ বা সহস্র ফণী এবং একটি স্বর্ণ কলসে রাখা নবরত্ন।