সবজির মোড়কে শীতের জাদু, বাঁধাকপি-ফুলকপির রোলে মন ভাল করা স্ন্যাক্স |
মাওবাদী দমন অভিযানে বাজেয়াপ্ত ৯২ কোটি টাকা, মনোবল ভাঙছে 'শহুরে নকশালদের', বিবৃতি কেন্দ্রের
মাওবাদী দমন অভিযানে বাজেয়াপ্ত ৯২ কোটি টাকা
দেশজুড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে বড় সাফল্য কেন্দ্রের (Anti Maoist Operations)। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক মাওবাদী বিরোধী অভিযানগুলিতে মোট ৯২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Maoist funding seized)। কেন্দ্রের মতে, এই আর্থিক আঘাতে মাওবাদী সংগঠনের অর্থের জোগান মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর ফলে ‘শহুরে’ নকশাল বা মাওবাদীদের মনোবলেও বড় ধাক্কা লেগেছে বলে দাবি সরকারের।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার কথা মাথায় রেখে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। ওই দলই সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এনআইএ (NIA) ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতর নিজেদের স্তরে অভিযান চালিয়ে আরও প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযানে (ED raid) উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি। যদিও কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
কেন্দ্রের বক্তব্য, এই অভিযানের ফলেই মাওবাদী সংগঠনগুলির ভিত নড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে শহুরে মাওবাদীদের মধ্যে মানসিকভাবে ভীতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশে মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ছিল ৩৬টি। বর্তমানে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিনটিতে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক সভায় এই তথ্য তুলে ধরতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ((Anti Maoist Operations)) ৩১৭ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৬২ জনকে। পাশাপাশি আত্মসমর্পণের সংখ্যাও বেড়েছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৯৭৩ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন।
কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, গত বছরে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক শীর্ষ নেতা নিহত হন। চলতি বছরে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও পাঁচ জন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। দু’বছরে মিলিয়ে মোট ২৮ জন শীর্ষ মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে। সরকারের দাবি, এই ধারাবাহিক অভিযানের ফলেই সংগঠনের ভিত দুর্বল হয়েছে এবং আত্মসমর্পণের প্রবণতাও দ্রুত বাড়ছে।
গত নভেম্বর মাসেই মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বিকাশ নাগপুরে ওরফে মাওবাদী নেতা অনন্ত (Anant Maoist leader surrender)। তাঁর সঙ্গে আরও ১০ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করার কয়েক দিনের মধ্যেই এই পদক্ষেপ।