বাঙালিদের উপর হেনস্থার প্রতিবাদে আজ পথে তৃণমূল
কেন্দ্র ও বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির নীরবতার বিরোধিতা করে সরাসরি মাঠে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ১টা নাগাদ কলেজ স্কয়্যার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল হবে। যার নেতৃত্ব দেবেন মমতা।
কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ কথা জানান। সাংবাদির বৈঠক ডেকে বলেন, 'ওইদিন শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের জেলাগুলিতেও তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে। বাংলায় কথা বললেই আজ ভিনরাজ্যে হেনস্থা হতে হচ্ছে। বাংলা ভাষা বললেই অপমান, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর হুমকি! এটা কি ভারত?'
চন্দ্রিমার দাবি, বারবার কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দেওয়ার পরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপি। উলটে যারা এই অপরাধ করছে, তাদের মদত দিচ্ছে বিজেপি-শাসিত সরকার। অসমে এক কোচবিহারের মহিলা বিয়ে করে গিয়ে এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন। বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে। মন্ত্রী আরও বলেন, 'ওঁর দাম্পত্য জীবনকে অপমান করা হল। এটা এক ধরনের জাতিবিদ্বেষ। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আদমশুমারি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, যাঁরা নিজেদের মাতৃভাষা বাংলা বলছেন, তাঁরা নাকি ‘বাংলাদেশি’। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্যে। এদেশের বাঙালিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানান। দেশজুড়ে বিতর্কও শুরু হয়। তৃণমূলের মতে, এটা সরাসরি বাংলা ভাষা ও বাঙালির অপমান।
এনিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, এমন হওয়া অন্যায় এবং তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।