মুখোমুখি কি হলেন তাঁরা?
তখন আশির দশক। কুণাল ঘোষ একেবারে তরুণ সাংবাদিক অন্যদিকে, মিঠুন চক্রবর্তী, তিনি হয়ে উঠেছেন বলিউড সুপারস্টার। পেশাগত দিক থেকে দু’টি দুই মেরুতে। কিন্তু মাঝের যে ব্যবধান, তাতে কখনও থাকেনি আঁধার। কুণাল ঘোষ যখন নিজেকে আদ্য়পান্ত রাজনীতিক করে তুলেছেন, সেই সময় নিজের দিকে টেনেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকেও। সূত্রের খবর, কুণালের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে আজ সেই সমীকরণ কিংবা রসায়ন, কোনওটাই আর মিলছে না। এমন আবহেই শহরের অভিজাত পাড়ার একই স্টুডিওতে কুণাল-মিঠুন। মুখোমুখি কি হলেন তাঁরা?
এক নামী পরিচালকের সিনেমায় কাজ করছেন কুণাল ঘোষ। রবিবার সেই ছবির ডাবিংয়ের কাজেই দক্ষিণ কলকাতার একটি স্টুডিওতে গিয়েছিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। ঘটনাচক্রে ওই একই স্টুডিওতে অন্য একটি ছবির জন্য ডাবিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। একই স্টুডিওতে এতটা সময় কাটালেও মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি তাঁদের। বিকাল বেলা ডাবিং শেষে স্টুডিও থেকে বেরতেই সেই আলাপ হওয়ার সম্ভবনার কথা সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন কুণাল ঘোষকে।
তিনি বলেছেন, ‘আমি তো এখানে একটি সিনেমার ডাবিং করতে এসেছিলাম। নিজের কাজ পুরোদস্তুর করলাম। সকলের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করলাম। তবে আমি শুনেছি, এখানে অন্য কেউ একজন রয়েছেন। আমার মুখোমুখি হওয়ার ভয়েই সাউন্ডের ঘরে বসে চুপিচুপি লাঞ্চ খেয়েছেন। বেরতে পারছেন না। এদিকে আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি গোটা স্টুডিও জুড়ে। তিনি বন্দি থাকছেন ভিতরে। অবশ্য উনি মিঠুনদা কিনা আমি বলতে পারব না।’
কুণাল চলে গেলেন। আর তাঁর বেরিয়ে যাওয়ার কিছুটা সময় পর সেই স্টুডিও থেকে বেরিয়ে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী। অবশ্য় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। নিজের গাড়িতে সটান বেরিয়ে যান ওই পাড়া থেকে। এই নিয়ে ফের কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন তিনি বলেন, ‘সবাই বলছিল কোবরা, কোবরা। আমি তো দেখলাম প্লাস্টিকের জলঢোঁড়া।’