শীর্ষে ২, দু'জনই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের!
উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম পর্বের (HS Result) ফলাফল প্রকাশিত হল পরীক্ষার ঠিক ৩৯ দিন পর। শুক্রবার সকালে কলকাতার বিদ্যাসাগর ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ফলাফল ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। তিনি জানান, এ বছর পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.৭২ শতাংশে। প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন মোট ৬৯ জন পরীক্ষার্থী।
পাশের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। তবে সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ফলাফল শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে দু'জন। ৯৮.৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে মেধাতালিকার শীর্ষে প্রীতম বল্লভ ও আদিত্য নারায়ণ জানা। দু'জনেই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই মেধা তালিকায় রয়েছে ৩১ জন।
বস্তুত, ২২ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শেষের পর ৩৯ দিনের মাথায় উচ্চমাধ্যমিকের থার্ড সেমিস্টারের ফল প্রকাশিত হল। পাসের হারে দ্বাদশ স্থানে রয়েছে কলকাতা। বিজ্ঞান শাখায় পাসের হার ৯৮.৮০ শতাংশ। ৪১.১৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করেছে। ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ১০ শতাংশের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী। প্রথম দশে আছে ৬৯ জন পরীক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ৩ জন ছাত্রী।
ফলাফল ঘোষণার পাশাপাশি জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে অনলাইনে দেখা যাবে রেজাল্ট। স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে মার্কশিট ডাউনলোডও করতে পারবেন।
সংসদ সভাপতি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল ছোটবেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত করানো। দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি স্কুল এই পরীক্ষায় অসাধারণ ফল করেছে, কারণ তাদের ছাত্রছাত্রীরা আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি। তাদের আরও প্রস্তুতি দরকার।”
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৩২ জন। ৬৬টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে ১৫টি ছিল ভাষাভিত্তিক। বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, সাঁওতালি সহ আরও কয়েকটি ভাষায় প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছিল। সংসদের সভাপতির দাবি, এবারের পরীক্ষা নজিরবিহীনভাবে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, "আজ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় সেমিস্টারে সফল সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। তোমাদের বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অভিনন্দন জানাই। দেশের মধ্যে প্রথমবার সেমিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা হল। এই বিপুল আয়োজন সঠিকভাবে করার জন্য এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার ধন্যবাদ জানাই। যারা এবার ভাল ফল করতে পারোনি তাদের বলব, হতাশ না হয়ে চতুর্থ সেমিস্টারে যাতে ভাল ফল হয় তার চেষ্টা করো।"