শকুনের রাজনীতি করছে তৃণমূল-বিজেপি: হুমায়ুন
'ভাগাড়ের শকুন যেমন মরা গরু খুঁজে বেড়ায়, বিজেপি-তৃণমূল (TMC BJP) এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে কে গলায় দড়ি দিয়েছেন, কে আত্মঘাতী হয়েছেন।' 'এসআইআর আতঙ্কে' রাজ্যে বেড়ে চলা মৃত্যু নিয়ে দু'দলকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)।
হুমায়ুনের কথায়, কে কোথায় মারা গেলেন সেখানে দৌড়ে যাচ্ছে, অথচ এসআইআর-এর সহায়তার জন্য যেন ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়েছে, সেখানে ফোন করলেও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। যেই গলায় দড়ি দেওয়ার খবর পাচ্ছে, ওমনি সেখানে চলে যাচ্ছে দলবল নিয়ে।
বস্তুত, রাজ্যে ভোটার তালিকার (Voter List) বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) নিয়ে চাঞ্চল্য অব্যাহত। ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে একাধিক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। মৃতদের পরিবারের দাবি, SIR সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং ভয় থেকেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
এই পরিস্থিতিতে সরাসরি মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উদ্যোগে গঠিত হল বিশেষ সহায়তা টিম। জানা গিয়েছে, এই দল শনিবার থেকেই কাজ শুরু করবে। লক্ষ্য— SIR-সংক্রান্ত আতঙ্কে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।
দলের সূত্রে খবর, টিমের সদস্যরা প্রথম পর্যায়ে টিটাগড়, ডানকুনি, হুগলি, উলুবেড়িয়া ও প্রদীপ করের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁদের কথা শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে তৃণমূল নেতৃত্ব।
অভিষেকের ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, “SIR নিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে, তাতে বহু নিরপরাধ মানুষ চরম মানসিক চাপে পড়েছেন। তৃণমূল সেই পরিবারের পাশে আছে এবং থাকবে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেকের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পরিষ্কার বার্তা দিতে চাইছে— প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জেরে জনজীবনে যে ভয় এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তা মোকাবিলায় দল মানুষকে একা ছাড়বে না।
জলপাইগুড়ি ও চুঁচুড়া এবং সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) কেন্দ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে রাজ্যে। এই আবর্তেই শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে চারজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্ক থেকেই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা।