‘পাল্টা মারের’ হুঙ্কার মিঠুনের, কি বললেন কল্যাণ-কুণাল?
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া (SIR) চলাকালীনই পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনার খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যেই আরামবাগে বিজেপি কর্মীদের সামনে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁর বক্তব্য, ভোটার তালিকা সংশোধন হলে ভুয়ো ভোটের কারচুপি বন্ধ হবে এবং প্রকৃত ভোটারদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। তিনি বলেন, “যারা অবৈধভাবে এসেছে, তাদের বাদ দিতেই হবে। বাংলার কেউ বাদ পড়লে প্রতিবাদ করব, তবে তার প্রতিবাদ করার আগে জানতে হবে, কারা কোথা থেকে এসেছে।”
“মার খেয়ে ঘরে ফিরবেন না, বরং প্রতিবাদ করুন।” বার্তা মিঠুনের (Mithun Chakraborty)
বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগও উড়িয়ে দেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। তিনি পালটা বলেন, “এখানে যাঁরা বেছে বেছে ঢুকেছেন, তাদেরই বেছে বেছে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার জন্য এত হইচই।” রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন মিঠুন। বলেন, “এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই।” দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “মার খেয়ে ঘরে ফিরবেন না, বরং প্রতিবাদ করুন।”
মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কল্যাণ বলেন, “তৃনমূল কংগ্রেসের টিকিটে একসময় রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। ইডি-সিবিয়াইয়ের ভয় পেয়ে দল বদলেছেন। বাংলার মাটির সঙ্গে কোনও যোগ নেই মিঠুনের।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি অভিনেতা হিসেবে আমি খুব সম্মান করি। তবে পলিটিশিয়ান হিসেবে আমি মনে করি, উনি একটা জোকার। উনি কোনও কিছু জানেন নাকি, হঠাৎ করে একদিন চলে আসে।”
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় হাজির ছিলেন মিঠুন, সেখান থেকেও রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বর্তমানে রাজ্যে চার দিনের সফরে রয়েছেন এই বিজেপি নেতা। সেই সুযোগেই ভোটার তালিকায় সংশোধনের প্রসঙ্গে রাজ্যের অবস্থানের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। এদিকে তাঁর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ বলেন, “যিনি ঘরের মধ্যে সানগ্লাস পরে থাকেন, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করছেন!”