‘কন্যাসন্তান নয়, বলিউডেও সকলে পুত্রসন্তান চান’, কঙ্গনার মন্তব্যে বিতর্ক |
নীতীশের জয়ে শুভেচ্ছাবার্তা তৃণমূল সাংসদের! বেজায় অস্বস্তিতে বঙ্গের শাসকদল
নীতীশের জয়ে শুভেচ্ছাবার্তা তৃণমূল সাংসদের!
জয়ে আপ্লুত বাংলার তৃণমূল সাংসদ। ‘বিহারিবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহার শুভেন্দু নীতীশ কুমারকে। তাঁর কথায়, বিহারের সব থেকে ভদ্র ও প্রশংসিত রাজনৈতিক নীতীশ। এদিকে, শত্রুঘ্নর শুভেচ্ছাবার্তায় বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতিও। বিজেপি-তৃণমূলের সেটিংয়ের অভিযোগে সোচ্চার বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘দল বিড়ম্বনায় পড়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নীতীশকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন, কে? না, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী শত্রুঘ্ন সিনহা। পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, বিজেপির সঙ্গী নীতীশ কুমার, তাঁকে প্রশংসা করছেন শত্রুঘ্ন, হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হয়ে।”
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “শত্রুঘ্ন সিনহা অনেক দলই করেছেন। তিনি একজন অভিনেতা, রাজনীতিবিদ নন। তিনি হয়তো নিজের মনের কথা বলেছেন। বিহারের লোক বিহারের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই করেছেন।”
বিষয়টিতে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “দলের প্রথম সারির মুখ, আমার বক্তব্যের কী অভিঘাত হবে, সেটা বোঝা উচিত। এমন মন্তব্য কখনই করা উচিত নয়, যেটায় দল বিড়ম্বনায় পড়ে। কোনও মন্তব্য করার আগে দলের কর্মীদের ভাবাবেগের দিকে তাকানো উচিত। ”
বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন, নীতীশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারল না। সত্তরের দশকের জেপি আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক জীবনের শুরু। সেই নীতীশই পরবর্তী সময়ে বিহারের সবচেয়ে বড় সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। বিহার জয়ের পর বঙ্গ বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছে। বাংলার বিধানসভার বাইরেও লাড্ডু বিলি করেছেন বিজেপি নেতারা। উড়েছে গেরুয়া আবির। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের স্লোগান তুলেছেন, ‘অঙ্গ-কলিঙ্গের পর এবার বঙ্গ!’ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের তরফ থেকেও পাল্টা আওয়াজ তোলা হয়েছে, ‘বাংলার মাটি আলাদা’, ‘কিংবা বেল পাকলে কাকের কী!’ বাংলার শাসকনেতৃত্ব সমানে এটাই বুঝিয়েছেন, বিহারের জয়ের কোনও প্রভাবই বাংলায় পড়বে না। সেখানে দলেরই সাংসদ ‘বিহারীবাবু’র এই শুভেচ্ছাবার্তা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়েছে।