‘বাংলাদেশি বলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে’, গুরুগ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকের বার্তায় আতঙ্ক আলিপুরদুয়ারে |
রাখির দিনে রক্তাক্ত কোচবিহার, শুটআউটে মৃত্যু তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের
প্রতিকী ছবি
রাখির দিনে রক্তাক্ত হল কোচবিহার। দিনেদুপুরে শুটআউটে মৃত্যু হল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের। মৃতের নাম অমর রায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অমর রায় তৃণমূলের যুব সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কি রাজনীতি জড়িত? নাকি অন্য কোনও বিষয়? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের ডোডেয়ার হাট এলাকায় এদিন দুপুরের পর এই শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ওই এলাকায় মঙ্গল ও শনিবার হাট বসে। সেজন্য এলাকায় সাধারণ মানুষের ভিড়ও থাকে যথেষ্ট। আজ শনিবার রাখির দিনেও হাট বসেছিল। দুপুরের পর ওই এলাকায় একটি বাইকে করে কয়েকজন গিয়েছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে হাটের মধ্যেই গুলি চালানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুণ্ডিমারির ডাওয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল নেত্রী কুন্তলা রায়। তাঁর পুত্র অমর রায় এক বন্ধুকে নিয়ে ওই হাটে মাংস কিনতে গিয়েছিলেন। হাটে ওই বাইক আরোহীদের সঙ্গে অমরের বচসা হয়েছিল বলে খবর। সেসময়ই ওই বাইক আরোহীরা অমরকে লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে বলে অভিযোগ। অমরের মাথায় গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান। অমরের বন্ধুও গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর। এরপরেই বাইক আরোহীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
খবর দেওয়া হয় পুণ্ডিমারি থানায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। অমর রায় ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে খবর। গুলিতে জখম অপর যুবককে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। দুটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার কথা জেনে হাসপাতালে যান তৃণমূলের মুখপাত্র, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি জানিয়েছেন, “পুলিশ-প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা হওয়া প্রয়োজন। কোচবিহারে একের পর এক তৃণমূলের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এভাবে তৃণমূল নেত্রীর ছেলেকে দিনেদুপুরে ‘খুন’ করা হল। নিরাপত্তা কোথায়?”