ত্বকে বয়সের ছাপ? শুধু দামি ক্রিম মাখলেই কাজ হবে না, বদলাতে হবে লাইফস্টাইল |
তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না, বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে বার্তা অমিত শাহের
তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না
২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) জয়ই একমাত্র লক্ষ্য। এই বার্তা দিয়েই রাজ্য বিজেপিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির (BJP) নির্বাচন সংক্রান্ত কোর কমিটির সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও রকম ঢিলেমি চলবে না। সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামতে হবে (West Bengal News)।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) মাঝে মঙ্গলবার কলকাতায় এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তার পরে প্রায় ঘণ্টাখানেক রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন শাহ।
সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি অবশ্যই বড় ইস্যু, তবে তার পাশাপাশি অনুপ্রবেশ এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রশ্নে সংগঠনের প্রতিটি শাখাকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলেও নির্দেশ দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির শীর্ষ নেতাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে শাহ বলেছেন, বিহারে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরে আসেনি, তেমনই পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ‘মহা জঙ্গলরাজ’ নির্মূল করতে হবে। গঙ্গা যেমন বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসে, তেমনই বিহারের রাজনৈতিক পরিবর্তনের বার্তা বাংলাতেও পৌঁছবে— এই বার্তাই দিতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব।
বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বকে সংগঠন আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রস্তুতি এখন থেকেই জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
বস্তুত, মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে যে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন শাহ, তার মূল অভিমুখই ছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশে মদত দেওয়ার অভিযোগ। সেই সঙ্গে দুর্নীতি, অপশাসন এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগও উঠে আসে সাংবাদিক বৈঠকে।
অনুপ্রবেশ নিয়ে শাহের (Amit Shah) দাবি, বাংলার ভৌগোলিক মানচিত্রের পাশাপাশি জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, আর সেই প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকার নীরব সমর্থন দিচ্ছে। যা শুধু বাংলার নয়, দেশের সুরক্ষার জন্যও গুরুতর বিপদের।