শহিদ স্মরণে যোগ দেওয়ায় বাধা! গোঘাটে দুই দলের বচসায় মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর
গোঘাট থানা
একুশে জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে যাওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে হুমকি, উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ। প্রতিবাদ করতেই বাঁশ দিয়ে তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা গোঘাটের বালি পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে বিজেপি কর্মী হিসেবে মানতে রাজি নয় বিজেপি মন্ডল সভাপতি। তবে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণ। তার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই জেলার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেই মতো একদিন আগেই অর্থাৎ রবিবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন, হুগলির গোঘাটের বালির হালদারপাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা । অভিযোগ, সেই সময় গ্রামেরই এক বিজেপি কর্মী সমর্থক কার্তিক কার্ফা তাকে সভায় যোগ দিতে না যাওয়ার কথা বলেন এবং কথা না শুনলে তাকে হুমকি দেন। এরপরই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কার্তিক কার্ফা ওই তৃণমূল কর্মীকে বাঁশ ও চ্যালা কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা। গুরুতর অভিযোগ এই যে মারের ফলে ওই ব্যক্তির মাথা ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করে। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গোঘাট হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে ঘিরে ফেলে স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী কার্তিক কার্ফাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ধৃতের ছেলের দাবি, কার্তিক কার্ফা বর্তমানে কোনো দলের সঙ্গেই যুক্ত নন। তবে এলাকার বিজেপির মন্ডল সভাপতি রাজু রানা দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি আগে বিজেপির সক্রিয় কর্মী থাকলেও বর্তমানে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নন। তার দাবি, সম্পত্তিগত বিবাদকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।