মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত রিপোর্টে নাম জড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এরপরই সরব হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কুখ্য়াত যৌন অপরাধী এপস্টিনের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগ রয়েছে এমনই একটি রিপোর্ট পেশ করেন মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ১০০০কোটি মার্কিন ডলারের মান হানির মামলা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত কয়েকদিন ধরেই এপস্টিন সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে অস্বস্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় নিজের নতুন রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে এনে এলন মাস্ক দাবি করেন জেফ্রি এপস্টিনের ঘনিষ্ঠ ট্রাম্প। এরপর সম্প্রতি একটি মার্কিন দৈনিক এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার পরে নড়েচড়ে বসে হোয়াট হাউস। নেওয়া হয় পদক্ষেপ। মানহানির মামলার পাশাপাশি এপস্টিন ফাইলের কিছু অংশ প্রকাশের জন্য আবেদন জানানো হল নিউ ইয়র্কের আদালতে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে দাবি, এপস্টিনকে নগ্ন মহিলার ছবি এঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০০৩ সালে এপস্টিনের ৫০তম জন্মদিনে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। টাইপরাইটারের মাধ্যমে লেখা শুভেচ্ছাবার্তায় বলা হয়েছিল, “শুভ জন্মদিন। তোমার প্রতিটা দিন যেন ভিন্ন অথচ দুর্দান্ত ভাবে গোপন হয়ে ওঠে।” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিঠিতে এক নগ্ন মহিলার ছবি এঁকেছিলেন ট্রাম্প। নীচে কেবল ডোনাল্ড শব্দটি লিখে স্বাক্ষর করেছিলেন।
তবে এবিষয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীদের দাবি, সংবাদপত্রটি ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মিথ্যা’ খবর করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমের এই কাজ তাঁর ব্যক্তিগত সম্মান এবং রাজনৈতিক কেরিয়ারে আঘাত হেনেছে।
আমেরিকায় গ্র্যান্ড জুরি হল সেই প্যানেল, যা যাচাই করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট অপরাধে অভিযুক্ত করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ আছে কি না। এই প্রক্রিয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই গোপন সাক্ষ্য নেওয়া হয়ে থাকে এবং সাক্ষীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। গ্র্যান্ড জুরির তথ্য মার্কিন আইন দ্বারা সুরক্ষিত। সাধারণ ভাবে তা প্রকাশ্যে আনা যায় না। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে আদালত সেই তথ্য প্রকাশ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন সেই আবেদন জানিয়েছে। আদৌ এপস্টিন ফাইল প্রকাশ্যে আসবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।