কোমর জলে নেমে শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মেয়র, ছাতা দিয়ে সাফ করলেন রাস্তার জঞ্জালও |
Kolkata Weather Update: মঙ্গল গেল, বুধে কি শহরে পা ফেলতে পারবেন?কী জানাল আলিপুর?
বুধে কি শহরে পা ফেলতে পারবেন?
সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে হাঁটু থেকে কোমর জলে ডুবে গিয়েছে কলকাতার একাধিক এলাকা (Kolkata Waterlogged)। শহরের বহু এলাকা থেকে জল এখনও নামেনি। উল্টে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শুধু কলকাতাতেই ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পইপই করে সতর্ক করে বলেছেন, পারতপক্ষে বাড়ি থেকে না বেরোতে। এমন অবস্থায় আগ্রহের বিষয় হল, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কি শহরে পা রাখা যাবে? আলিপুর আবহাওয়া অফিস কী বলছে? (Kolkata Weather Forecast Wednesday 24th September))
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, এমনিতে মঙ্গলবারও রাতভর ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রঝড় হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার। বুধবার গোটা দক্ষিণবঙ্গের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মঙ্গলবারই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, তাঁদের যে নিকাশি পাইপ রয়েছে তা দিয়ে ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টির জল খালে ফেলা সম্ভব। কিন্তু খালগুলোই জলে ভরে আছে। বোধগম্য যে বুধবারও ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে শহরে জল জমার সমস্যা থেকে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত (২৫–২৮ সেপ্টেম্বর) শহরের বহু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রঝড় চলতে পারে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার একাধিক জেলায় বজ্রঝড়ের সঙ্গে দমকা হাওয়া (ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি) বইতে পারে। তবে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকায় খোলা মাঠ, গাছের নীচে বা বিদ্যুতের খুঁটির পাশে দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শহরের জলমগ্ন এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হতে পারে। উপকূলবর্তী জেলাগুলির জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়া ও উত্তাল সমুদ্রের সম্ভাবনা থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চুম্বকে, মঙ্গলবারের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর বুধবারও শহরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রঝড়ের আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে। তাই কলকাতাবাসীর জন্য ঝড়-বৃষ্টি যেন এখনও পিছু ছাড়ছে না। অফিস-স্কুলের পথে বেরোলে ছাতা–বর্ষাতি অবশ্যই রাখতে হবে, আর জলমগ্ন এলাকায় চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।