সবজির মোড়কে শীতের জাদু, বাঁধাকপি-ফুলকপির রোলে মন ভাল করা স্ন্যাক্স |
'এটা হাউসের অপমান', একজনও পূর্ণমন্ত্রী না থাকায় রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা উপরাষ্ট্রপতি
শীতকালীন অধিবেশনেই বিরল নজির
শীতকালীন অধিবেশনেই (Winter Session) বিরল নজির। রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) শুক্রবার কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হল। দেখা গেল, অধিবেশন শুরু হওয়ার মুহূর্তে একজনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Cabinet Minister) উপস্থিত নেই। বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষুব্ধ বিরোধীরা এই ঘটনাকে 'হাউসের অপমান' বলে তীব্র আপত্তি জানায় এবং অবিলম্বে অধিবেশন স্থগিতের দাবি তোলে।
২০০১-এর ১৩ ডিসেম্বর সংসদ হামলায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরেই বিরোধীরা চেয়ারম্যান সি পি রাধাকৃষ্ণনের (CP Radhakrishnan) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আঙুল দিয়ে দেখাতে থাকেন যে সামনে কোনও মন্ত্রীর দেখা নেই। চেয়ারম্যানও বিষয়টির গুরুত্ব স্বীকার করেন। তিনি একজন প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন, যেন অবিলম্বে কোনও মন্ত্রিসভার সদস্যকে আসতে বলা হয়। রাধাকৃষ্ণন বলেন, “নিয়ম আমি জানি। একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর আসা উচিত বলে জানানো হয়েছে।”
কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়নি বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা জয়ারাম রমেশ সরব হন। বলেন, “হাউজের প্রতি অপমান এটা। মন্ত্রী না আসা পর্যন্ত কার্যক্রম চলতে পারে না। স্থগিত করুন।” প্রায় পাঁচ মিনিট অপেক্ষার পরও মন্ত্রী না আসায় রাজ্যসভা ১০ মিনিটের জন্য স্থগিত করেন চেয়ারম্যান।
লোকসভায় শোকপ্রস্তাব, দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি অধিবেশন
লোকসভায় অবশ্য অন্য চিত্র। প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার শিবরাজ পাটিলের প্রয়াণ এবং ২০০১ সালের সংসদ হামলার শহিদদের স্মরণে শোকপ্রস্তাবের পর স্পিকার ওম বিড়লা ঘোষণা করেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি থাকছে অধিবেশন।
প্রয়াত শিবরাজ পাটিলকে স্মরণ করে ওম বিড়লা বলেন, সংসদীয় কর্মকৌশল ও জনজীবনে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ভারতীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করেছে। পরে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠক করেন। কংগ্রেস সাংসদকে সুরেশ জানান, বৈঠকে শোকপ্রস্তাব পাশ হয় এবং শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে দলীয় সাংসদের কাজের মূল্যায়নও হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শোকপ্রকাশ করেন। তিনি জানান, জনসেবায় আজীবন নিবেদিত এই বর্ষীয়ান নেতা দেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান দিয়ে গিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের লাতুরে নিজের বাসভবনে ৯০ বছর বয়সে প্রয়াত হন শিবরাজ পাটিল। ১৯৩৫ সালের ১২ অক্টোবর লাতুরের চাকুর গ্রামে জন্মানো পাটিল দেশের রাজনীতিতে অন্যতম সম্মানিত মুখ ছিলেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী, লোকসভা স্পিকার ও রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর যাত্রাপথ ছিল দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ।