You will be redirected to an external website

ফুলাহার নদীতে জলবৃদ্ধি, বন্যাকবলিত এলাকায় নৌকায় ত্রাণ পৌঁছে দিলেন মন্ত্রী ও বিডিও

Water level rises in Fulahar River, minister and BDO deliver relief by boat to flood-hit areas

ফুলাহার নদীতে ভয়াবহ অবস্থা

উত্তরবঙ্গজুড়ে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিক নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ফুলাহার নদীতেও। নদীর জল হঠাৎ বেড়ে উপচে পড়ায় নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে প্লাবন দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় গ্রামবাসীরা কার্যত জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দিনরাত থেকেই গ্রামগুলিতে দুর্দশার ছবি দেখা যায়। বহু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের জমিও।

এই অবস্থায় শনিবার সকালে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এলাকায় পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক প্রশাসন। এদিন উত্তর ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল ও রসিকপুরসহ বেশ কয়েকটি বন্যাকবলিত গ্রামে নৌকা করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন কর্মকর্তারা। প্রায় ৩০০ পরিবারকে ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে পলিথিন, মুসারি, চাল, চিড়ে, গুড় এবং কিছু বস্ত্র। ত্রাণ হাতে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দুর্গত পরিবারগুলি।

ত্রাণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেন, চাঁচল মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ পান্ডে এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল। তারা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেন— “পরিস্থিতি যতদিন স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততদিন ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।”

এদিকে জলবন্দি মানুষেরা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী সমাধান করার দাবিও তুলেছেন। কারণ প্রায় প্রতিবছরই ভারী বর্ষণের সময় ফুলাহার নদী প্লাবিত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন।

রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন বলেন, “আজকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের সব রকম ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার ও প্রশাসন তাদের পাশে রয়েছে।”

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল বলেন, “আজকে প্রায় ৩০০ টি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হলো। আগামীতে আরও দেওয়া হবে। আমরা সব রকম ব্যবস্থা করেছি মানুষের জন্য। মেডিকেল টিম রয়েছে। এছাড়াও যেসব বাড়িতে জল ঢুকছে তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গবাদি পশুর খাওয়ার ব্যবস্থাও করছি আমরা।”

AUTHOR :Sukanya Majumder

Sukanya Majumdar is a Copywriter and Social Media Desk Personnel at Express News. She holds a Bachelor's degree in Mass Communication from Burdwan University and a Diploma in Media Science from MAKAUT. Additionally, she has completed practical training in News Reading and Copy Editing from Fox Media School. With a strong foundation in both traditional and digital media, Sukanya brings clarity, creativity, and precision to every piece of content she crafts.

মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল! মান্ডিতে হাড়পা বানে তলিয়ে গেল বাড়ি, নিখোঁজ বহু, সরকারের হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ২৩ জন Read Previous

মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্য...