দিল্লিতে আমরা কী করতে পারি দেখাব: অভিষেক
আগে মানুষ সরকার নির্বাচিত করত, আর এখন সরকার কিনা ঠিক করছে কারা ভোট দিতে পারবে আর কারা পারবে না! এসআইআরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার জোড়াসাঁকোর সামনের সভা থেকে এভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে একবন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি এবং কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, আমাদের ধমকে চমকে লাভ নেই! ২ দিনে এই মিছিল করতে পারলে ২ মাসের ব্য়বধানে দিল্লিতে কী করতে পারি সেটা ভেবে দেখতে বলব বিজেপির বন্ধুদের।
সচিত্র ভোটাধিকারের দাবিতে নয়ের দশকে প্রথম আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন তদানীন্তন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের ফলেই আজ মানুষ ভোটাধিকার পেয়েছে। বিজেপি কমিশনকে কাজে লাগিয়ে সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে আমরা বরদাস্ত করব না। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে আমরা ভোটাধিকার রক্ষা করব।
এরপরই জনতার উদ্দেশে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, নিজেদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য আপানার কি দিল্লি যেতে প্রস্তুত? সমস্বরে জবাব আসে হ্যাঁ। সম্মতি পেয়ে অভিষেক জানিয়ে দেন, বাংলাকে যাঁরা অপমান করেছে, যাঁরা বাংলাকে ভাতে মারার পরিকল্পনা করেছে, আগামীদিনে দিল্লিতে গিয়ে যার জবাব দেওয়া হবে।
এসআইআরের প্রতিবাদে এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকাররক্ষার স্বার্থে এদিন রেড রোডে বি.আর. অম্বেদকরের মূর্তির সামনে থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এসআইআর বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিলেন ছিলেন দলের নেতা, কর্মীরাও। ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী।
এসআইআর ঘোষণার পর রাজ্যে আতঙ্কে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, মৃতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন অভিষেক।
ঠিক এই দিনেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) কাজ। সকাল থেকেই বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য যাচাই করছেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই এদিন পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস।