বদলাতে শুরু করল বাংলার হাওয়া
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলায় কিন্তু এখন হাওয়া বদলাতে শুরু করে দিয়েছে। অন্ততপক্ষে আগামী ৫-৬ দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। অন্তত এখন যা সিস্টেম রয়েছে। নতুন করে যদি কোনও নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি না হয়, তাহলে বাংলার আকাশ এখন ঝকঝকে পরিস্কারই থাকবে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, রক্সৌল বারাণসী জব্বলপুর আকোলা আলিবাগ ওপর সক্রিয় বর্ষা বিদায় রেখা। ফলে মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, বিহার ও উত্তর প্রদেশের বাকি অংশ থেকে বিদায় নেবে বর্ষা। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ় থেকেও বর্ষা বিদায় নেবে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম এবং তেলেঙ্গানা থেকেও বর্ষা বিদায় পর্ব শুরু হবে আগামী দুদিনের মধ্যে। তবে এখনও যে হুরহুর করে তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে, সেটাও কিন্তু নয়।
কারণ বাতাসে এখনও জলীয় বাষ্প কিছুটা রয়ে গিয়েছে। তার কারণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরল উপকূলে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। উত্তর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে। তাই এখনই তাপমাত্র নামার সম্ভাবনা কম।
ঝাড়গ্রাম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলা থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে বুধবারের মধ্যে। উত্তরবঙ্গের আকাশ আপাতত রোদ ঝলমলে থাকবে।
তবে অবাক হওয়ার বিষয়, উত্তরবঙ্গের এই বিপর্যয়ের পরও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জুন মাস থেকে শুরু হওয়া এবারের বর্ষার মরসুমে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি থেকেই গেল। বর্ষা বিদায় নেওয়ার আগে পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির ঘাটতি ১৬ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ পজিটিভ। ৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সামগ্রিকভাবে। কলকাতায় ২৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সরে সেই স্থান দখল করবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া। যদিও এখনও বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় তাপমাত্রা খুব একটা নামছে না বলেই জানালো আলিপুর। কলকাতায় ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পশ্চিমের জেলায় আরো দু-তিন ডিগ্রি কমতে পারে। তবে কলকাতায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে না হলে শীতের আমেজ আসবে না।