তাপমাত্রা নামল ৫ ডিগ্রির নীচে
সকাল থেকে কুয়াশার দাপট। তবে বেশিক্ষণ নয়, ৮টা বাজতেই প্রখর রোদ, উধাও হয়ে গেল ‘শীতের প্রতিনিধি’। চোখের সামনে পরিস্কার আকাশ জানান দিয়েছে, দিনভর বৃষ্টির বা কালো মেঘ কোনওটারই সম্ভবনা নেই। তাপমাত্রাও যা থাকবে, তাতে কষ্ট হবে না। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আবহাওয়ায় এখন বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বাংলা জুড়ে শীতের আমেজ। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে অনেকটাই কমছে। স্বাভাবিকের থেকে নীচেই দিন ও রাতের পারদ। এই অবস্থায় আকাশে বড়সড় পরিবর্তনের কোনও সম্ভবনা নেই।
ভোরে হালকা কুয়াশা, সকাল বাড়তেই ধোঁয়াশা। বেলা গড়ালে সব উধাও। শুষ্ক আবহাওয়া, তাই বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভবনা নেই। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও অনুভূত হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। গতকাল বীরভূমের শ্রীনিকেতনে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল পারদ। অন্যান্য জেলাগুলিতেও একই পরিস্থিতি। পারদ নামছে বাঁকুড়া-পুরুলিয়াতেও।
উত্তরবঙ্গের কী হাল?
শীতের দার্জিলিঙে বৃষ্টির ঘটনা বেনজির নয়। তবে আপাতত সেখানেও এরকম কোনও সম্ভবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুষ্ক আবহাওয়া ঘিরে ধরেছে উত্তরবঙ্গকেও। দার্জিলিঙের তাপমাত্রা রাতের দিকে নেমেছে ৫ ডিগ্রির নীচে। মালদহে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে। সব জেলাতেই কুয়াশার দাপট। তবে পার্বত্য এলাকায় কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা কোথাও ৯০০ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত রয়েছে।
দিল্লিতে শঙ্কা
শুষ্ক আবহাওয়া বাড়তি গতি পেয়েছে দূষণ। দেশের রাজধানীকে ঘিরে ধরেছে ‘বিষাক্ত বায়ু’। যার জেরে প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্য়েই দূষণের দাপট কমাতে একটি প্য়ানেল গঠন করেছে প্রশাসন। কিন্তু আখেড়ে কতটাই বা লাভ হবে, সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন একাংশ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ২৯৩ একিউআই। যা স্বাভাবিক ভাবে শঙ্কাজনক। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সেটা সন্দেহতীত। সোমবার বাতাসের গুণমান ছিল ৩৫০ একিউআই।