অভিষেক দলের নেতা থেকে বিএলএ-দের কী কী বললেন?
গত মঙ্গলবার থেকে দেশের ১১টি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাতেও ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের (SIR) প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন (Election Commission)। ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন বুথ লেবেল অফিসার বা বিএলও-রা (BLO)। এবার এই বিএলওদের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকার জন্য দলের বুথ লেবেল এজেন্ট বা বিএলএ টুদের (BLA 2) নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবারের এই বৈঠকে দলের নেতা থেকে বিএলএ-দের কী কী বললেন তিনি?
- প্রত্যেক ওয়ার্ডে নভেম্বরের ৪ তারিখ থেকে তৃণমূলের হেল্প ডেস্ক বা ক্যাম্প হবে। সেই ক্যাম্পে এসআইআর শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে অ্যাসিস্ট করবে।
- আমাদের লক্ষ্য একশো শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করানো। ৯৯.৯৯ নয় ১০০ শতাংশ।
- বিএলএ-২ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএলও-র ছায়াসঙ্গী হিসেবে কাজ করতে হবে। এক মুহূর্তের জন্যও বিএলও-কে ছাড়বেন না। বিএলএ-এর কোনও অসুবিধা হলে বিইআরএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। বিইআরএস-এর দায়িত্ব হচ্ছে যেভাবে বিএলএ ২ বিএলও-র ছায়াসঙ্গী হয়ে কাজ করবে, বিইআরএস বিআরও এবং এইআরও-র ছায়াসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে সমন্বয়সাধন করে কাজ করবে।
- একইভাবে জেলাস্তরে বিএলএ ওয়ান প্রতিদিন ডিইও-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে, নিচুতলার সমস্যা নিয়ে কথা বলবে, সেখানে কোনও ধরনের সমস্যায় পড়লে বিএলএ ১ সরাসরি নেতৃত্বকে জানাবেন।
- ২০০২ সালের খসড়া ভোটার তালিকা যদি কারও কাছে থাকে, দ্রুত সম্ভব তালিকা বের করে যে তালিকা ইলেকশন কমিশনের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। কোথাও অসঙ্গতি বা গড়মিল থাকলে বিএলএ ১ বিধায়কদের জানাবেন এবং, বিধায়করা আমাদের জানাবেন।
- নভেম্বরের ৩ তারিখের মধ্যে ৮০ হাজার বিএলএ ২-এর ফর্ম বিএলএ ১-কে সই করে জমা দেবে। ইতিমধ্যেই বিএলএদের ফর্ম জমা পড়ে গেছে। দলের তরফে নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএলএ ১-রা সই করে ইলেকশন কমিশনের কাছে জমা দেবে। দল এটা তদারকি করে নেবে। ফর্ম রেডি থাকলেই পাঠিয়ে দেবেন না। একদম শেষ মুহূর্তে করবেন।
- ২৯৪টি ওয়ার রুম তৈরি করা হবে। এখানে ইন্টারনেট কানেকশন-সহ ল্যাপটপ থাকতে হবে। সকলে সেখানে একসঙ্গে কাজ করবে। কোনও সমস্যা হলে তারা আমাদের জানাবেন। এই ওয়ার রুমের তদারকি করবেন এলাকার বিধায়করা। যেখানে বিধায়ক নেই, সেখানে ব্লক সভাপতিরা দায়িত্ব নেবেন। দিনের শেষে রিপোর্ট করে দলকে জানাতে হবে।