কলকাতায় শুভাংশু শুক্লা
কলকাতায় এসেই ভারতের ভবিষ্যৎ মহাকাশ-পরিকল্পনার কথা স্পষ্ট করে দিলেন নভশ্চর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। বুধবার মিউজিয়াম অফ অ্যাস্ট্রনমি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সে অনুষ্ঠানে জানান, দেশের নিজস্ব মহাকাশকেন্দ্র স্থাপন এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাঁর কথায়, ‘আগামী ১০–১৫ বছরের মধ্যে এটা হবেই হবে। ২০৩০ বা ২০৪০—তা বড় কথা নয়।
দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে মহাকাশ অভিযান। উপর থেকে ভারতকে কেমন দেখাচ্ছিল? প্রশ্নের জবাবে হুবহু তুলে ধরলেন রাকেশ শর্মার বহুপ্রচারিত উত্তর—‘সারে জঁহা সে আচ্ছা!’ সহাস্য শুক্লা জানালেন, এই চেনা উত্তরটা আগেও দিয়েছেন এবং তাঁর অনুভূতিও রাকেশের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।
কলকাতা শুভাংশুর কাছে স্মৃতির শহর। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ নিতে বারাকপুরে দীর্ঘ সময় কাটানোর স্মৃতিও উল্লেখ করেন তিনি। কলকাতা তাঁর চোখে, ‘বড় আদরের।’যেখানে আজ একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন শুভাংশু। প্রথমে সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটানো। সেখানে থাকবে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব, তারপর তাঁর নামে তৈরি প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন ও একটি মিউজিয়াম ভ্রমণ।
দিনের শেষে রয়েছে বিশেষ আলোচনা সভা। মেলে ধরবেন তাঁর মহাকাশযাপনের অভিজ্ঞতা। শিরোনাম: ‘My Experience in Space: The Final Frontier’। এই বৈঠকে যোগ দেবেন প্রফেসর ড. সন্দীপ চক্রবর্তী, ডিরেক্টর, ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস রিসার্চ; ‘নাসা’-র বিজ্ঞানী ড. জয়দীপ মুখার্জি এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ।
উল্লেখ্য, এ বছর ২৬ জুন অ্যাক্সিয়ম–৪ (Axiom-4) মিশনে তিন সহ-নভশ্চরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে পৌঁছোন শুভাংশু। ১৫ জুলাই পৃথিবীতে অবতরণ। ভারতের মহাকাশ গবেষণার নয়া অধ্যায় রচনায় এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসাবে দেখছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা। এতে সায় দিলেন শুভাংশু। তাঁর বার্তা—দেশের মহাকাশ-পরিকাঠামো দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রযুক্তি, দক্ষতা ও পরিকল্পনা—সব ক্ষেত্রেই অগ্রগতি স্পষ্ট চোখে পড়ছে। নিজস্ব মহাকাশকেন্দ্রের লক্ষ্য সময়সাপেক্ষ হলেও অনিবার্য। বক্তব্যে তাই পরিষ্কার আস্থা—আগামী দশকে মহাকাশ গবেষণায় ভারত আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে।