ভক্তদের চাপে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন বিজয়, চেন্নাই বিমানবন্দরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, ভাইরাল ভিডিও |
২০ লক্ষ ইট, দানবাক্সে কোটি কোটি টাকা! হুমায়ুন তাঁর মসজিদের জন্য এখনও অবধি কী কী পেলেন?
২০ লক্ষ ইট, দানবাক্সে কোটি কোটি টাকা
'২১ সালে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir News)। বিধানসভা ভোটের বেশ কিছু দিন পর থেকেই তিনি এমন বাঁকা বাঁকা মন্তব্য করতে শুরু করেন যে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তৃণমূলকে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। তারপর শোকজ। যদিও হুমায়ুন বদলাননি! শেষে সাসপেন্ড হয়ে দিন কয়েক আগে সেই তিনিই জনতা উন্নয়ন পার্টি নামে নতুন দল গড়েছেন। তারও আগে ঘোষণা করেছিলেন, ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের ধ্বংসের দিনই বেলডাঙায় ‘বাবরি মসজিদ’-এর শিলান্যাস করবেন। কথা মতো তা হয়েও গিয়েছে ইতিমধ্যেই। জোর কদমে কাজও চলছে।
অনেকেরই মনে থাকবে, শিলান্যাসের দিন মরাদিঘি মোড়ের কাছে প্রায় ২৫ বিঘা জায়গা জুড়ে বিশাল মঞ্চ নির্মাণ হয়েছিল। যার দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট, প্রস্থ ৮০ ফুট। প্রায় চারশো অতিথির বসার ব্যবস্থা ছিল সেখানে। মঞ্চ নির্মাণেই নাকি খরচ হয়েছিল প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। শুধু খাওয়াদাওয়াতেই ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩০ লক্ষ।
শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানের জন্য বিশাল আয়োজন হয়েছিল ওইদিন। প্রায় ৪০ হাজার অতিথির জন্য বিরিয়ানি প্রস্তুত করার বরাত দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাত সাতটি কেটারিং সংস্থাকে। লোকও গিজগিজ করছিল গোটা মাঠ জুড়ে।
হুমায়ুনের এই মসজিদকে নিয়ে এখনও কম হইচই নেই। যে হারে মানুষ তাঁকে অনুদানে ভরিয়ে দিচ্ছেন, তাতে হিসেবের নাগাল পাওয়া দায়। দ্য ওয়ালকে ভরতপুরের বিধায়ক জানালেন, "এখনও অবধি একেরপর এক দানবাক্স গোনার পর টাকার অঙ্ক ৩ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে।" নগদ ছাড়াও মসজিদের খরচ তুলতে অনলাইন, স্ক্যানার বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করেছিলেন আলাদা। সেখানে এখনও অবধি জমা চার কোটি জমা পড়েছে গেছে।
হুমায়ুন জানালেন, ১৫-২০ লক্ষ ইট থেকে শুরু করে মসজিদ নির্মাণে যা যা দরকার, তার আনুমানিক খরচ বাবদ দু' কোটির বেশি পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ কবীরবাবু তাঁর মসজিদের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ কোটির মতো অনুদান পেয়ে গিয়েছেন।