বড়দিন থেকেই শীতের লম্বা ইনিংস শুরু?
ডিসেম্বর (December) প্রায় শেষের পথে কিন্তু এখনও সেইভাবে জাঁকিয়ে ঠান্ডা (Winter) অনুভব করতে পারেনি রাজ্যবাসী। যদিও সম্প্রতি এক ধাক্কায় অনেকটাই পারদ পতন হয়েছে। রবিবার মরসুমের শীতলতম ভোর (Coldest Morning) হলেও টানা শীত থেকে কার্যত বঞ্চিতই হতে হচ্ছে এখনও। কিন্তু বড়দিনের আবহেই এই পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের (Weather Office) পূর্বাভাস, আগামী চার দিনে রাজ্যের তাপমাত্রায় বড় কোনও ওঠানামা না হলেও ২৪ ডিসেম্বরের পর থেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা বাড়বে। কিছু জেলায় রাতের তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। কারণ উত্তুরে হাওয়ার গতি বাড়ায় শীতের অনুভূতিও বাড়বে।
হাওয়া অফিস বলছে, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) অধিকাংশ জেলায় রাতের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। তবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির ঘরেও চলে যেতে পারে। বড়দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলেই পূর্বাভাস।
উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) ধীরে ধীরে তাপমাত্রা নামছে। বড়দিনের পর থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে শীতের দাপট আরও বাড়তে পারে। পাহাড়ি এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা অবশ্য আপাতত নেই। আগামী সাতদিন রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও বড় কোনও পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই বলেই জানানো হয়েছে।
এদিকে, তাপমাত্রা নামার পাশাপাশি সব এলাকায় দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারেরও নীচে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা। রবিবার সকাল থেকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছিল কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Kolkata International Airport)। তবে স্বস্তির কথা, বিমান চলাচল (Flight Operations) তেমনভাবে ব্যাহত হয়নি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত আলোর (Advanced Lighting System) সাহায্যে উড়ান স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। সকাল আটটা নাগাদ বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় ৬০০ মিটার। মূল রানওয়ের (Main Runway) দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় ১০০০ মিটার। ফলে বড় কোনও উড়ান বাতিলের খবর পাওয়া যায়নি।