মাস্টার প্ল্যানের হালকা আভাস দিলেন দিদি
ভোটের পরেই ঘাটালে অ্যাকশন হবে। মঙ্গলবার জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনের সময় ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিন মমতার সঙ্গে ঘাটাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেখানকার সাংসদ দেব অধিকারী। ঘাটালের এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র ও ডিভিসিকেই দায়ী করেন মমতা। বলেন, ‘বাংলা নদীমাতৃক দেশ, নেপালে বৃষ্টি হলে উত্তরবঙ্গ ভেসে যায়। আর ডিভিসি, পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়া হলে প্লাবিত হয় দক্ষিণবঙ্গ।’
‘অত্যাচার আর সহ্য করব না’
প্রতি বছরই জলযন্ত্রণায় ভুগতে হয় ঘাটালকে। শুধু তাই নয়, এর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজকোষ থেকে খরচ করতে হয় রাজ্য সরকারকে। এই দিন তাই মমতা বলেন, ‘এই অত্যাচার আর সহ্য করব না। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ব্যবস্থা হবে।’
অর্থসাহায্য থেকেও বঞ্চিত বাংলা
প্রতি বছর বন্যার জন্য বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় দক্ষিণবঙ্গের একটি বিরাট অংশের। কিন্তু তার জন্য সমস্ত ব্যয় রাজ্য সরকারই করে বলে দাবি মমতার। তাঁর কথায়, বিহার, অসমে বন্যা হলে তারা কেন্দ্র থেকে অনুদান পায়। কিন্তু বাংলার বেলায় কোনও অনুদান আসে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন বিমাতৃসুলভ আচরণের নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কেন্দ্র কিছু করেনি। এই প্ল্যানের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’
২০ বছর ধরে ড্রেজিং বন্ধ রেখেছে ডিভিসি
জলযন্ত্রণা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ডিভিসি কেন ড্রেজিং করায় না? ড্রেজিংয়ের অর্থ নদীর নিচে জমে থাকা পলি তুলে নদীর খাত আগের মতো গভীর করা। ড্রেজিং করলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা অন্তত ১০ হাজার কিউসেক বেড়ে যেত বলে দাবি মমতার। গত ২০ বছর ধরে এই কাজ করা হয়নি। ফলে বর্ষা হলেই উপচে যায় নদীর জল। বন্যা হয় দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে নদীর নানা অববাহিকায়।
কী করা হবে ভোটের পর?
ভোটের পর কী করা হবে, তার একটি আভাসও এই দিন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘ডিভিসি জল ছাড়লে, তা কী ভাবে আটকানো যায়, তার পরিকল্পনা করব। প্রয়োজনে কিছু বাঁধ তৈরি করব, তা দিয়ে জল আটকানো হবে।’ মমতা এই দিন বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঁচ লক্ষ পুকুর কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি।