Orange Pudding: শীতের লোভনীয় ডেজার্ট, ঝটপট জেনে নিন কমলালেবুর পুডিং এর রেসিপি |
কাজে ফিরবেন, 'বিচার' চাইতে বেহালা পশ্চিমেও যাবেন! ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে জানিয়েছেন পার্থ
ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে জানিয়েছেন পার্থ
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ৩ বছরের বেশি সময়ের কারাবাসের পর মঙ্গলবার অবশেষে জেলমুক্ত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর দেখা করেছেন তাঁর অনুগামী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বাড়িতে ফেরার পর তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই কাজে ফিরবেন। পাশাপাশি, কয়েক দিনের মধ্যেই বেহালা পশ্চিম (Behala Paschim) কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও ঠিক কবে যাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পার্থর জেলমুক্তির খবরে অনেক আগে থেকেই উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পার্থর বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ঢল। তাঁদের সঙ্গে ছিল পোস্টার যাতে লেখা ছিল - আবার পার্থ চ্যাটার্জিকেই চাই। অনুগামীদের বক্তব্য ছিল, বেহালার রূপকার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জন্যই উন্নয়ন হয়েছে বেহালার।
জেলমুক্তির পর প্রথমবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে সেই বেহালার প্রসঙ্গই টেনেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তিনি বলেছেন - আইনের প্রতি তিনি সব সময় আস্থাশীল ছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে সত্যের জয় হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। তাঁর সংযোজন, তিনি বেহালা পশ্চিমের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। যাঁরা তাঁকে সৎ মানুষ মনে করে পরপর পাঁচ বার নির্বাচনে জয়ী করেছেন, তিনি তাঁদের কাছেই বিচার চাইতে যাবেন।
বিগত কয়েক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবারই স্পষ্ট হয়ে যায় তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন। তাই তৃণমূল কর্মীদের একাংশ তথা পার্থর অনুগামীদের মধ্যে ছিল খুশির মেজাজ। এদিন হাসপাতাল চত্বরেও ছিল দেখার মতো ভিড়। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আগেবতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। তাঁর চোখ-মুখ দেখে বোঝাই গেছিল কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময়ে তাঁর চোখ ছলছল করছিল, কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। গাড়ি ঘিরে থাকা সংবাদমাধ্যম এবং অনুগামীদের দিকে তাকিয়ে হাত জোড় করেন পার্থ, যদিও তখন কিছু বলেননি।
এদিন বাড়ি ঢোকার মুহূর্তে 'পার্থদা জিন্দাবাদ' স্লোগান শোনেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর গাড়ি থেকে নামেন পার্থ। চোখে জল ছিল তাঁর। বাড়ির দরজার চৌকাঠে আসতেই আগুন ছুঁয়ে ঘরে ঢোকেন তিনি। বরণ করে নেন পার্থর ভাইয়ের স্ত্রী। হাত ধরে তাঁকে ঘরে নিয়ে যান ভাই ও ভাইয়ের মেয়ে। পাশে ছিলেন তাঁর আইনজীবী ও এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা (TMC)।