উপমুখ্যমন্ত্রী বনাম আরজেডি প্রার্থী
বিহারে ভোটের (Bihar Election) প্রথম দফাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী (Bihar Deputy CM) তথা বিজেপি প্রার্থী বিজয় কুমার সিনহা (Vijay Kumar Sinha) এবং আরজেডি প্রার্থী (RJD Candidate) অজয় কুমারের মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকালে।
ঘটনাটি লক্ষ্মীসরাই শহরের একটি রাস্তায়। ভিডিও ফুটেজে (Viral Video) দেখা যায়, দুই প্রার্থী নিজ নিজ নিরাপত্তারক্ষী এবং সমর্থকদের মাঝে একে অপরকে আক্রমণাত্মক ভাষায় দোষারোপ করছেন। কেউ কারও কথার জবাব দিতে ছাড়ছেন না।
অজয় কুমার অভিযোগ করেন, “বিজয় সিনহা একজন অপরাধী। ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।” সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা দেন উপমুখ্যমন্ত্রী, “ওই লোকটা ব্যর্থ নেতা, উপরে থেকে পুরো মাতাল।”এর আগের দিনই লক্ষ্মীসরাইয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। তখন একদল লোক বিজয় সিনহার কনভয়ে জুতো-চটি এবং পাথর ছুড়ে মারে। ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান ওঠে এলাকায়।
বিজয় সিনহার অভিযোগ, “ওর (অজয় কুমার) গাড়ি এসে আমাদের পথ আটকে দেয়। ও তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল, মুখে সাংঘাতিক গন্ধ। ভোটদখল করতে গিয়েছিল। শুনল আমরা যাচ্ছি, তাই পালিয়ে আসে।”
ভিডিওর শেষ অংশে শোনা যায়, বিজয় অভিযোগ করছেন অজয় কুমার ‘মহুয়া’ খেয়ে ছিলেন— যেটি স্থানীয় গাছের ফুল থেকে তৈরি একপ্রকার দেশি মদ। উত্তরে অজয় কুমার বলেন, “মহুয়া!”— যার জবাবে সিনহা বলেন, “মদ হোক বা মহুয়া, দুটোই তো এক!”
তবে ভিডিও থেকে নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় না, অজয় কুমার সত্যিই ‘মহুয়া’ সেবন করেছিলেন কি না। পরে অজয় কুমার বলেন, “ওর গাড়ি আমাদের আটকে দেয়, পরে নাটক শুরু করে। ও জানে, এবার ওর পরাজয় নিশ্চিত। বিজয় সিনহার সময় শেষ।”ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন (ECI) রাজ্যের ডিজিপিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান, “ভোট চলাকালীন এ ধরনের হামলা বরদাস্ত করা হবে না।”
উপ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নিজের কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পরিদর্শন করতে গেলে লালুপ্রসাদের পার্টির লোকেরা তাঁর উপর হামলা চালায়। তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন। তাঁর গাড়ির হামলা হয়। আরজেডি সমর্থকেরা গাড়ির উপর ইট-পাথর ও জুতো ছোড়ে। পরে উপমুখ্যমন্ত্রী হুমকি দিয়েছেন এনডিএ ফের সরকার গঠন করলে আরজেডির দুষ্কৃতীদের পার্টি অফিস বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।সকালে কয়েকটি বুথে বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল লালু প্রসাদের দল। নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।