বন্ধ কাবুতর খানা
মহারাষ্ট্র সরকার জরুরি নির্দেশ দিয়েছে বৃহৎমুম্বই পুরনগিমকে, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে সমুদ্রনগরী মুম্বইয়ের সমস্ত জায়গায় পায়রাদের খাবার দেওয়া হয় অর্থাৎ ‘কবুতরখানা’। হঠাৎ এমন নির্দেশিকা কেন? নেপথ্যে মহামারীর শঙ্কা। পায়রার বিষ্ঠা, এমনকী পালক থেকে মারণ ব্যাধী ছড়ানোর আশঙ্কায় তড়িঘড়ি পুরনিগমের কর্তাদের শহরের সমস্ত ‘কবুতরখানা’ বন্ধ করতে বলেছে রাজ্য সরকার।
মুম্বইয়ে এরকম ৫১টি কবুতরখানা রয়েছে। মুম্বইয়ের অসংখ্য জায়গায় পায়রাদের খাবার দেয় সাধারণ মানুষ। তাতে আনন্দের সঙ্গে যোগ দেয় শিশুরাও। বলিউডের বিভিন্ন ছবিতে এই দৃশ্য দিয়েই মুম্বইয়ের প্রতীকী দৃশ্য তুলে ধরা হয়। কিন্তু, পায়রার বিষ্ঠা মানবশরীরের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সরকারের ঘরে বহুকাল ধরে এ ধরনের বিপজ্জনক কাজের বিষয়ে নালিশ আসছিল। পায়রার বিষ্ঠার সংস্পর্শে এলে শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ বা হাঁপানি ধরতে পারে।
বিধানসভায় পুর প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত শিব সেনা নেতা মণীষ কায়ান্দে পায়রা নিয়ে আশঙ্কার কথা ব্যক্তি করেন। তিনি বলেন, “যে এলাকায় কবুতর খানা রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। পায়রার বিষ্ঠা এবং পালক থেকে রোগ ছড়াচ্ছে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। ফুসফুসের রোগ হচ্ছে তাঁদের।” পুরনিগমের অন্যতম সদস্য বিজেপি নেত্রী চিত্রা ওয়াঘ দাবি করেন, পায়রার বিষ্টা থেকে সংক্রমিত হয়ে ফুসফুসের রোগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর কাকিমার।
জানা গেছে শহরের গিরগাঁও চৌপট্টির মতো জায়গায় ফাস্টফুডের দোকানগুলির উচ্ছিষ্ট খায় শয়ে হাজারে পায়রার দল। দাদর-এর কবুতরখানা বেশ বিখ্যাত পায়রার ঝাঁককে খাওয়ানোর।উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে বলেন, অস্বীকৃত কবুতরখানা যেমন, সান্তাক্রুজ পূর্ব, দৌলত নগর ও সান্তাক্রুজ পশ্চিমের কবুতরখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভা ওইসব জায়গায় ট্রাফিক আইল্যান্ড ও মায়াওয়াকি ধাঁচের বাগান তৈরি করে দিয়েছে। আশা করা যায়, পুরসভা এভাবে বাকিগুলিও বন্ধ করে দেবে। সরকার পদক্ষেপ করতে চাইলেও বিভিন্ন তরফ থেকে এনিয়ে বাধা আসে প্রতিবারই। এই পদক্ষেপ পাখি প্রেমিকরা কীভাবে নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।