অ্যালকালাইন ওয়াটার
জল পান করার ক্ষেত্রেও মানুষের মধ্যে এখন পছন্দের তালিকার একেবারেই প্রথমে রয়েছে অ্যালকালাইন ওয়াটার। আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও সচেতন হয়েছে। অ্যালকালাইন ওয়াটার বাড়ির পানীয় জল বা বাজারের সাধারণ বোতলের জলের থেকে আলাদা।
প্রথমেই জানা দরকার অ্যালকালাইন ওয়াটার আসলে কি? জলের ক্ষার পরিমাপ করা হয় পিএইচ স্কেল দিয়ে। অ্যালকালাইন জলের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান প্রবেশ করানো হয়। তাই এই জলের ক্ষারের পরিমাণও একটু বাড়ে। সাধারণত এই ধরনের জলের পিএইচ মাত্রা ৮ থেকে ৯.৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
অ্যালকালাইন যুক্ত জল পানের সঙ্গে একাধিক উপকারিতার যোগসূত্র রয়েছে। এই জলে একাধিক খনিজ উপাদান থাকে বলে তা শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অ্যাসিডিটি দূর করে খাবার হজম করতে সাহায্য করে অ্যালকালাইন ওয়াটার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যালকালাইন ওয়াটারের মধ্যে ‘অ্যান্টি এজিং’ গুণ রয়েছে। তাই নিয়মিত এই জল পান করলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি হয়।ক্রিড়াবিদ বা ফিটনেস সচেতন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চার পরে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দূর করতে পারে অ্যালকালাইন ওয়াটার।
বর্তমানে বাজারে এই ধরনের জল সহজলভ্য। ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা বড় দোকানে এই ধরনের জলের বোতল পাওয়া যায়। অনলাইনেও এই জল কেনা যায়। এমনকি অ্যালকালাইন ওয়াটারের মতো উচ্চ পিএইচ মাত্রা যুক্ত জল তৈরির জন্য ওয়াটার ফিল্টারও এখন সহজলভ্য।বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে ১ লিটার অ্যালকালাইন ওয়াটারের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।