'সন্তানস্নেহ' বড় বালাই
'... অনেকদিন থেকে বুঝতে পেরেছিল, কতকগুলো ব্যথা আছে যা সম্পূর্ণ ওর একলারই - ওর চার দিকের লোকের মধ্যে তার কোনো সাড়া নেই।' - রবীন্দ্রনাথের লেখা লাইনগুলি যেন আবারও জীবন্ত হয়ে উঠল ছত্তীসগড়ের দেওলা বাঈয়ের চোখের জলে।
ছোট্ট অশ্বত্থের চারা ২০ বছরের যত্নে মহীরুহ হয়ে ছায়া দিত তাঁকে। হঠাৎ তাকে কেটে ফেলল কয়েকজন মিলে। দু'দশক জুড়ে যে গাছ তাঁর অস্তিত্বে মিশে ছিল তাকে হারানো শোক যে কতটা প্রবল হতে পারে, দেখল সোশ্যাল মিডিয়া।
ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) খৈরাগড় জেলায় ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা দেওলা বাঈয়ের বুকভাঙা কান্নার ভিডিও দেখে চোখোর কোণা ভিজছে সোশ্যাল মিডিয়াবাসীর। ঘটনাটি ঘটেছে সারাগোন্ডি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওলা বাঈ নামের প্রায় ২০ বছর আগে নিজের উঠোনে একটি ছোট্ট অশ্বত্থের চারা পুঁতেছিলেন। তারপর থেকে তিনি সেই গাছটিকে নিজের সন্তানস্নেহে লালনপালন করেছেন। নিয়মিত জল দিতেন, যত্ন নিতেন।
কিন্তু কয়েকদিন আগেই, কেউ বেআইনিভাবে গাছটি কেটে দেয়। বলা হচ্ছে, ব্যক্তিগত লাভের আশায়ই এই কাজ করা হয়েছে। পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ির পাশে বসে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওলা বাঈ নামের প্রায় ২০ বছর আগে নিজের উঠোনে একটি ছোট্ট অশ্বত্থের চারা পুঁতেছিলেন। তারপর থেকে তিনি সেই গাছটিকে নিজের সন্তানস্নেহে লালনপালন করেছেন। নিয়মিত জল দিতেন, যত্ন নিতেন।
কিন্তু কয়েকদিন আগেই, কেউ বেআইনিভাবে গাছটি কেটে দেয়। বলা হচ্ছে, ব্যক্তিগত লাভের আশায়ই এই কাজ করা হয়েছে। পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ির পাশে বসে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ভিডিওটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, বৃদ্ধা মাথা রেখে কাঁদছেন সেই কাটা গাছের গুঁড়িতে।
রিজিজু এক্স-এ লিখেছেন, “এ এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। এক বৃদ্ধা হাউমাউ করে কাঁদছেন, কারণ ২০ বছর আগে তিনি যে অশ্বত্থ গাছ রোপণ করেছিলেন, তা কেটে ফেলা হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, ঘটনাটি ছত্তীসগড়ে ঘটেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামেরই এক বাসিন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ৫ অক্টোবর সকালে খৈরাগড়ের ইমরান মেমন ও তাঁর এক সঙ্গী গাছটি কাটতে উদ্যত হন। গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ গিয়ে বাধা দেন এবং তাঁদের থামান।
কিন্তু পরদিন সকালেই দেখা যায়, গাছটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে, শুধু গুঁড়িটুকু পড়ে আছে।
এই ঘটনার পর খৈরাগড় থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-র ২৯৮ ধারা (ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত) এবং ৩(৫) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
খৈরাগড়-ছুইখাদন-গান্ডাই (KCG) পুলিশের তরফে খৈরাগড় থানার আধিকারিক অনিল শর্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, ইমরান মেমন সম্প্রতি গ্রামের সরকারি জমির সামনে একটি প্লট কিনেছিলেন। সেই জমি সমান করার উদ্দেশ্যেই গাছটি কাটা হয় বলে জানা গেছে। মেমন এই কাজে সহায়তা নেন লালপুরের প্রকাশ কোসরের, যিনি কাটিং মেশিন ব্যবহার করে গাছটি ফেলে দেন। সেই সময় মেমন আশেপাশে পাহারা দিচ্ছিলেন।