ভূতের দখলে সায়েন্স কলেজ!
অন্ধকার নামতেই যেন বদলে যায় চেহারা। দিনের আলোয় সব কিছু স্বাভাবিক মনে হলেও, রাতে পরিণত হয় ভয়ের সাম্রাজ্যে। একসময় গবেষণার আস্তানা ছিল হায়দরাবাদের খয়রাতাবাদ সায়েন্স কলেজ, আজ সেটাই নাকি ভূতের রাজত্বের অঘোষিত সদর দফতর। জানালা দিয়ে দেখা যায় নাচতে থাকা কঙ্কাল, শোনা যায় রহস্যময় আওয়াজ—যেখানে সন্ধের পর ঢোকার সাহস করে না কেউই।
হায়দরাবাদের বুকে এক সময় জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র ছিল খয়রাতাবাদ সায়েন্স কলেজ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে মেধাবী গবেষকরা এখানে এসে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু আজ সেই কলেজই পরিণত হয়েছে এক রহস্যময় আতঙ্কের কেন্দ্রে। দিনের আলোয়ও যেখানে প্রবেশ করতে ভয় পান সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহু বছর আগে কলেজের গবেষণাগারে আচমকাই ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুনেই স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিস্ময়ের বিষয়, বায়োলজি ল্যাবের ভেতরে গবেষণার জন্য রাখা মৃতদেহগুলো আর সরানো হয়নি। এরপর থেকেই শুরু হয় অদ্ভুত সব ঘটনা।
অনেকে জানিয়েছেন, অন্ধকার রাতে কলেজের জানালা দিয়ে কঙ্কাল নাচতে দেখা গেছে। কোথাও ঝলকানি আলো, আবার কোথাও অস্বাভাবিক আওয়াজ—সব মিলিয়ে যেন এক ভয়াল পরিবেশ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সূর্যাস্তের পর যে কেউ এই পোড়ো বিল্ডিংয়ে ঢোকার সাহস করলে আর জীবিত বেরিয়ে আসতে পারেননি।
সরকার কয়েক বছর আগে রাতে পাহারার জন্য নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেছিল। কিন্তু সেও রহস্যজনকভাবে খুন হন। এরপর থেকেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, বায়োলজি ল্যাবে আটকে থাকা মৃত আত্মারাই এসব ভুতুড়ে ঘটনার জন্য দায়ী।
যেখানে এক সময় ছাত্র-শিক্ষকরা জ্ঞানের আলোয় ভরিয়ে তুলতেন পরিবেশ, আজ সেখানে নাকি রাজত্ব করছে ভূতেরাই। খয়রাতাবাদের সায়েন্স কলেজ এখন আর গবেষণার কেন্দ্র নয়, বরং এক ভূতুড়ে অধ্যায়ের নাম।