৫ লক্ষ রসগোল্লা বনাম ৫০০ কেজি লাড্ডু, বিহারে ফলপ্রকাশের আগে মিষ্টি বিতরণে টানটান লড়াই |
বাচ্চা দেখাশোনা করে কোটি কোটি টাকার মালিক এই মহিলা, বিদেশ ঘুরে বেড়ান প্রাইভেট জেটে করে
বাচ্চা দেখাশোনা করে কোটি কোটি টাকার মালিক
ন্যানি হিসেবে কাজ করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই মহিলা। কথা হচ্ছে ক্যাসিডি ও’হেগান-এর (Cassidy O’Hagan)। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই তিনি এমন জীবনযাপন করছেন, যা অনেকেই গোটা জীবনে কল্পনা করতে পারেন না। শীত কাটান অ্যাসপেনে (Aspen), গ্রীষ্মে থাকেন হ্যাম্পটনসে (Hamptons)। এর মাঝের সময়টায় কখনও পুয়ের্তো রিকো, কখনও ভারত, মালদ্বীপ বা দুবাই। প্রায়শই ঘোরেন এক্সোটিক জায়গায়। সব জায়গায় ঘুরে বেরান প্রাইভেট জেটে করে।
ও’হেগানের চাকরিটা শুনে অবাক হবেন। তিনি পেশায় একজন 'বিলিয়নার ন্যানি' (billionaire nanny), এক ধনী পরিবারের শিশুদের দেখাশোনা করেন তিনি। কিন্তু সুযোগ-সুবিধাগুলো কোনও সাধারণ চাকরির মতো নয়। তাঁর রয়েছে 401K রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান, স্বাস্থ্যবিমা, শেফের তৈরি খাবার, পেইড লিভ, এমনকি নিজস্ব ‘ন্যানি ওয়ার্ডরোব’ পর্যন্ত।
বিজনেস ইনসাইডারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ও’হেগান হলেন সেই নতুন প্রজন্মের একজন, যাঁরা মনে করেন, প্রচলিত কর্পোরেট চাকরির সুবিধা ধনীদের ব্যক্তিগত পরিষেবার চাকরির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না।
ক্যাসিডি ও’হেগান বলেন, “আমার আগের মেডিক্যাল সেলসের চাকরি কখনওই এর সঙ্গে তুলনা করা যায় না।”
২০১৯ সালে, তখন তাঁর বয়স ২২। এমসিএটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নিতে তিনি বাড়তি আয়ের জন্য কোনও ধনী পরিবারে কাজ খুঁজছিলেন। প্রথম চাকরিতেই তিনি বুঝতে পারেন, “আমি যেন এক অন্য জগতে ঢুকে গেছি।”
এরপরও কর্পোরেট জগতে কাজের ইচ্ছা ছিল তাঁর। ২০২১ সালে তিনি নিউইয়র্কে চলে যান এবং একটি বড় কোম্পানিতে মেডিক্যাল সেলসের চাকরি নেন। তখন তাঁর বেতন ছিল বছরে $৬৫,০০০ (প্রায় ৫৪ লক্ষ)। কিন্তু তাতেই তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
এক বছরের মধ্যেই চাকরি ছাড়েন ও ফিরে যান আগের পেশায়—ন্যানি হিসেবে। তাঁর কথায়, “আমি বুঝেছিলাম, আমি এমন এক কাজ ছেড়ে এসেছি যা আসলে আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গেই মেলে, যেখানে আমি যত্নশীল, মিশুক ও সেবামুখী।”