You will be redirected to an external website

আড়াই কোটি বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার, শুরু হল রানী শিরোমণির ‘কর্ণগড়’ সংস্কারের কাজ

The work of renovating the 'Karnagarh', the home of Rani Shiromani, the undisputed leader of the Chuar rebellion, has finally begun.

শুরু হল রানী শিরোমণির ‘কর্ণগড়’ সংস্কারের কাজ

অবশেষে শুরু হল চুয়াড় বিদ্রোহের অবিসংবাদিত নেত্রী রানী শিরোমণির গড় ‘কর্ণগড়’ সংস্কারের কাজ। আর এই কাজের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এরপরেই ‘কর্ণগড়ে’র ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রানীর প্রাসাদ, হাওয়া মহল তথা জলহরি, আটচালা রীতির মন্দির, শিবমন্দির থেকে শুরু করে অন্যান্য ধ্বংসাবশেষগুলি সংস্কার করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার তথা জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কর্ণগড় সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলন করা ভালোবাসি কর্ণগড়, হেরিটেজ জার্নি, রানী শিরোমণির ঐক‌্যমঞ্চের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি।

প্রায় তিন বছর আগে হেরিটেজ সম্মান রক্ষা ও গড় সংরক্ষণে কর্ণগড়কে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকাকে ঘিরে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আনাগোনাও বেড়েছে পর্যটকদের। এবার শুরু হল গড় সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হল। শালবনীর বিডিও রেমান মণ্ডল জানিয়েছেন, ”প্রায় আড়াই কোটি টাকার টেণ্ডার হয়েছিল। সেই কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থাকে তিনশো দিনের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। আশা করা যায় সময়ের মধ্যেই তা শেষ হবে।” আর এই কাজ শেষ হলে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কর্ণগড়কে ঘিরে প্রথম মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী রানী শিরোমণির সংগ্রামের ইতিহাস বহু প্রাচীন। ঐতিহাসিক চুয়াড় বিদ্রোহের প্রধান নেত্রী ছিলেন রানী শিরোমণি। কৃষক বিদ্রোহকে সামনে রেখে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। রাজকোষ থেকে অর্থ খরচের পাশাপাশি লোকবল দিয়েও সাহায্য করেছিলেন। শুধু তাই নয়, একটা সময় চুয়াড় বিদ্রোহের সবটাই পরিচালানো হতো কর্ণগড় থেকেই। রানীর প্রাসাদের সীমানা ছিল প্রায় একশো কুড়ি বিঘা। দু’দিকে ছিল প্রাকৃতিক সীমানা পারাং নদী। কুলদেবী মহামায়ার আখ্যানের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন। বর্তমান মহামায়া মন্দির থেকে প্রাচীন এই গড় ও মন্দির মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই। এখনও সেখানে অবশিষ্ট আছে গড়ের ধ্বংসাবশেষ, প্রাচীন মন্দির ও হাওয়া মহল ‘জল হরি‘। যা তৈরি হয়েছিল মাকড়া পাথর ও পোড়া ইট দিয়ে। আবার গড়ের কিছু দূরেই আছে আরও দুটি মন্দির। এখানে দেখতে পাওয়া যায় চাপা আটচালা রীতির মন্দির। মন্দিরগুলিতে রয়েছে পঙ্খের প্রলেপ। মন্দিরজুড়ে ফুটে ওঠে খিলান রীতি! গড়ের বিভিন্ন মন্দির ও ধ্বংসাবশেষ মাকড়া- ল্যাটেরাইট পাথরের।

AUTHOR :Rima Ghatak

Rima Banerjee is a content writer at Express News, with over 3 years of experience in digital journalism. She holds a Bachelor's degree in Mass Communication from Kazi Nazrul University. Passionate about news and storytelling, Rima is dedicated to delivering accurate, engaging, and timely content that connects with readers across platforms.

Demand for alkaline water is increasing due to health awareness! Know the benefits of this special water Read Previous

স্বাস্থ্য সচেতনতায় বাড়...

Safety pins are available in the market for two to ten taka. This small metal object is a reliable way to deal with minor clothes messes. Read Next

৬৯ হাজার টাকার সেফটি পিন ...