শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পরিদর্শনে সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী! খুঁটিয়ে দেখলেন প্রস্তুতি |
পাহাড়ের কোলে হাই-স্পিড ইন্টারনেটে ইয়াকতেন! ভারতের প্রথম ডিজিটাল নোম্যাড গ্রাম সিকিমে
ইয়াকতেন হোমস্টে
পাহাড়ের কোলে হাই-স্পিড ইন্টারনেটের হাত ধরে কর্মজীবনের নতুন দিগন্ত, ভারতের প্রথম ডিজিটাল নোম্যাড গ্রাম সিকিমের ইয়াকতেন। এবার পাহাড়ে বসেই অফিসের কাজ করার সুযোগ।
শহরের কোলাহল ছেড়ে শান্ত পরিবেশে বসে কাজ করার স্বপ্ন এবার সত্যি হচ্ছে সিকিমে। পূর্ব সিকিমের প্যাকইউং জেলার ছোট্ট গ্রাম ইয়াকতেন গ্রামকে ঘোষণা করা হয়েছে ভারতের প্রথম ডিজিটাল নোমাদ গ্রাম হিসেবে। সেখানেই এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ ডিজিটাল পেশাজীবীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে কাজ আর প্রকৃতির সহাবস্থান সম্ভব হচ্ছে।
এই উদ্যোগে ইয়াকতেনের প্রতিটি হোমস্টেতে থাকবে হাই স্পিড ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই সুবিধা, যা ডিজিটাল পেশাজীবীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। গত সপ্তাহে স্থানীয় বিধায়ক পামিন লেপচার হাত ধরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে ইয়াকতেন শুধু একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে একত্রিত করে একটি অনন্য কর্মস্থল হিসেবে আত্ম প্রকাশ করল।
জেলা শাসক রমেশ আগারওয়াল জানান, ইয়াকতেন এখন থেকে পর্যটকদের জন্য কাজ ও প্রকৃতির এক সেরা মিলনস্থল হয়ে উঠবে। এতদিন এই নির্জন পাহাড়ি গ্রাম মূলত পর্যটনের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু এই নতুন সংযোজন ইয়াকতেনকে প্রযুক্তি এবং পর্যটনের এক নতুন পরিচয়ে পরিচিত করল।
খবর এই বিশেষ ঘোষণা হতেই পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণ। অনেকেই আগাম বুকিং করছেন ‘ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন’-এর অভিজ্ঞতা নিতে। শিলিগুড়ি থেকে সহজ যাতায়াত, পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট — সব মিলিয়ে ইয়াকতেন এখন ডিজিটাল নোমাদদের স্বপ্নের ঠিকানা।
এই প্রকল্প ভারতের অন্যান্য গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও একই ধরনের উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করবে। যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্য়মে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সম্ভব হবে। ইয়াকতেন দেখিয়ে দিল যে কাজ এবং প্রকৃতির সহাবস্থান শুধু একটি স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব সম্ভাবনা।