টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে নতুন নাম খুঁজছে বিসিসিআই
টিম ইন্ডিয়ার বুকে লেখা স্পনসরের নাম—শুধু বিজ্ঞাপন নয়, ক্রিকেট সংস্কৃতির অচ্ছেদ্য অঙ্গ।
সেই নাম এখন বদলাতে চলেছে। ফ্যান্টাসি স্পোর্টস জায়ান্ট ড্রিম ১১ (Dream11) সরে দাঁড়ানোয় নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। তবে শর্ত কড়া। অনলাইন রিয়েল মানি গেমিং কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কোনও প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নিতে পারবে না। কারণ, এই খাত ইতিমধ্যেই সরকারের ‘অললাইন গেমিং অ্যাক্ট’ (‘Promotion and Regulation of Online Gaming Act 2025’) অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
ড্রিম ১১ গত কয়েক বছরে আইপিএল ও টিম ইন্ডিয়ার স্পনসরশিপ বাবদ বিসিসিআইকে দিয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। ২০২৩–২০২৬ মেয়াদে তাদের চুক্তি ছিল প্রায় ৩৫৮ কোটি টাকা (৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। তবু এক বছর বাকি থাকতে সরে দাঁড়াতে হল। কারণ স্পষ্ট আইনি বার্তা—‘কোনও ব্যক্তি অনলাইন মানি গেমিং অফার করতে পারবেন না বা কোনও বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন না, যা মানুষকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে খেলতে উৎসাহিত করে।’ বোর্ডও বুঝেছে, পরিস্থিতি ড্রিম ১১–এর নিয়ন্ত্রণে নেই। যে কারণে অন্য আর্থিক অঙ্গীকারভঙ্গের মতো জরিমানার প্রশ্নও উঠছে না।
বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও দরদাতা বা তার গ্রুপ কোম্পানি অনলাইন বেটিং, গেমিং বা গ্যাম্বলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলে অংশ নিতে পারবে না। এমনকি তামাক, অ্যালকোহল বা ‘জনসাধারণের নৈতিকতাকে আঘাত করতে পারে এমন ক্ষেত্র, যেমন পর্নোগ্রাফি’—এমন ব্র্যান্ডও বাদ। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে ‘ব্লকড ক্যাটেগরি’। যেখানে ইতিমধ্যেই বোর্ডের পার্টনাররা, যেমন: অ্যাডিডাস (স্পোর্টসওয়্যার), ক্যাম্পা কোলা (কোল্ড ড্রিঙ্ক), আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক (ব্যাংকিং), এসবিআই লাইফ (ইনশিওরেন্স) রয়েছে। অর্থাৎ, এই ক্ষেত্রের অন্য ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণের অনুমতি নেই।