দলে ফিরতেই চোট-আতঙ্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচের আগে সম্ভবত ফের চোটের কবলে হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। দুই মাস মাঠের বাইরে থাকার পর অবশেষে কামব্যাক। এশিয়া কাপে বাম ঊরুর আঘাত কাটিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (SMAT Tournament) বারোদার হয়ে দু’টি ম্যাচ খেলেন এবং পুরোদস্তুর বোলিংও করেন। যে কারণে মনে হয়েছিল জাতীয় দলে ফেরার পথ হয়তো এবার পরিষ্কার।
কিন্তু কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে (Barabati Stadium) পৌঁছনোর পর চেনা ছন্দে ধরা দিলেন না হার্দিক। লম্বা ওয়ার্ম-আপ, সতর্ক দৌড়, স্ট্রেচিং—সবই হচ্ছিল। সাবধানতার সঙ্গে। ২০ মিনিটের মতো বোলিংও করলেন। কিন্তু মাঝপথে ফের অস্বস্তি শুরু। পরিস্থিতি অন্য রকম বুঝে দীর্ঘ ম্যাসাজ করানো হয়। পরে নেটে ব্যাট করতে নামেন। স্বাভাবিকভাবেই সেশন শেষও করেন। সেই মুহূর্তে উদ্বেগ কিছুটা কমলেও ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ধাক্কাটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে—কারণ শেষ প্র্যাকটিস সেশনে (Final Practice Session) হার্দিককে দেখা যায়নি।
দলের তরফে অবশ্য দাবি, এটি শুধুই ‘প্রিকশন’ (Precaution) বা সতর্কতা। কোনওভাবে নতুন চোট পাননি দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তবু প্রশ্ন উঠছে, আজ আদৌ মাঠে নামবেন তো? কারণ টি-২০ দলে ব্যালান্স তৈরি করতে হার্দিকের ভূমিকা অপরিহার্য। বোর্ডও তাঁকে সাবধানে ব্যবহার করতে চাইছে। এর আগে তিনটি নয়, মুস্তাক আলিতে দু’টি ম্যাচ খেলেই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। এখানেই স্পষ্ট, হার্দিকের কাঁধে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে চলছে ধীরে ধীরে খেলানোর পরিকল্পনা।
ভারতের সামনের কয়েক সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হার্দিকের ছন্দ (Rhythm) ও ম্যাচ ফিটনেস (Match Fitness) ফেরানোই গম্ভীরের মূল লক্ষ্য। তাঁর উপস্থিতি ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগকেই বদলে দেয়। যে কারণে বিশ্বকাপের আগে হার্দিককে সম্পূর্ণ ছন্দে পাওয়া দলের জন্য জরুরিও বটে।
তাই দলের অন্দরমহলের বার্তা পরিষ্কার—চোটের সামান্যতম ইঙ্গিতও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। ছোট ছোট স্পেল (Short Spells), নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্কলোড (Workload Management), ধাপে ধাপে প্রস্তুতি—এই পথেই তাঁকে টিমে পুরোপুরি ফেরানো হবে। তা না হলে কারণ আর একটি বড় ধাক্কা ভারতীয় পরিকল্পনাকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে (Major Setback)।