হনুমানজির ট্যাটু কীভাবে সাহায্য করে
বিশ্বকাপজয়ের (Women’s World Cup 2025) পর বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (Indian Women’s Cricket Team)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সেই সাক্ষাৎকারের সময় দলের নিজেদের অভিজ্ঞতা মেলে ধরেন প্রত্যেকে। আর তখনই একটি প্রশ্নে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma)। প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে থাকা হনুমানজির (Lord Hanuman) ট্যাটুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি এই ট্যাটু করেছ। বলো তো, এটা কীভাবে সাহায্য করে তোমায়?’
দীপ্তি শান্ত গলায় উত্তর দেন, ‘আমার নিজের চেয়ে ওঁর ওপর বিশ্বাস অনেক বেশি। সেই বিশ্বাসই আমায় মানসিকভাবে শক্ত রাখে। খেলায় মনোযোগ দিতে সাহায্য করে, আর কঠিন সময়ে শান্ত থাকতে শেখায়।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর জবাব শুনে বলেন, ‘এই মানসিক শক্তিই সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই বিশ্বাস আর ভরসাই তোমাদের বারবার এগিয়ে নিয়ে যাবে!’ দীপ্তির হনুমান ট্যাটু নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলাপ শেষ হয় এক গভীর বার্তায়—বিশ্বাস, পরিশ্রম আর মানসিক শক্তিই যে বড় টনিক, সেটা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন ভারতের সেরা অলরাউন্ডার। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে দলের সব সদস্যকেই ধন্যবাদ জানান এবং উৎসাহ দেন দেশের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁর কথায়, ‘তোমাদের সাফল্যের গল্প শুনে নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে!’
মোদীজির সঙ্গে দেখা করে কতটা উজ্জীবিত বিশ্বজয়ী মেয়েরা? দীপ্তির জবাব, ‘আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য আমরা সবাই খুব অপেক্ষা করছিলাম। আমি এখনও মনে রেখেছি, ২০১৭ সালে আপনি বলেছিলেন—একজন খেলোয়াড়কে বোঝা যায় সে ব্যর্থতার পর কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, সেটা দেখে। তখন থেকে আপনার ওই কথাটা মাথায় রেখেই লড়েছি!’ নিয়মিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতা শোনেন। যেভাবে শান্তভাবে কঠিন পরিস্থিতি সামলান, সেটা অনুপ্রেরণা দেয়। তিনি চেষ্টা করেন মাঠে সেই ধৈর্য ধরে রাখতে! জানিয়ে দেন দীপ্তি।
বিশ্বকাপ ফাইনালে (Final) পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। ব্যাট হাতে ৫৮ রান, বল হাতে ৫ উইকেট—দুই ভূমিকাতেই ভারতের জয়ের নায়ক তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবার ওডিআই বিশ্বকাপ জেতে ভারতীয় দল। যেখানে দীপ্তির নাম বারবার উঠে এসেছে পরিসংখ্যানে—৯ ম্যাচে ২২ উইকেট, ২১৫ রান, তিনটি অর্ধশতরান। সেই পারফরম্যান্সের জেরেই পান ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’-এর পুরস্কার।