শ্রেয়সের সার্জারি সফল
শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) শারীরিক অবস্থা নিয়ে স্বস্তির খবর। সিডনির (Sydney) হাসপাতালে অস্ত্রোপচার সফল। প্লীহার (Spleen) আঘাতজনিত জটিলতা কাটিয়ে আপাতত স্থিতিশীল তিনি। ক্রিকবাজের (Cricbuzz) রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ সিডনির হাসপাতালেই থাকতে হবে শ্রেয়সকে। বর্তমানে তাঁকে আইসিইউ (ICU) থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে আনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে (ODI) অ্যালেক্স ক্যারির (Alex Carey) ক্যাচ নিতে গিয়ে গুরুতর চোট পান শ্রেয়স। হর্ষিত রানার (Harshit Rana) বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দৌড়ে ক্যাচ নেওয়ার সময় পড়ে গিয়ে পাঁজরে ও প্লীহায় আঘাত লাগে। প্রথমে সাধারণ চোট ভেবে সাজঘরে আসেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, প্লীহায় ছিঁড়ে যাওয়া অংশে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। সেই কারণে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে পরে সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বোর্ডের (BCCI) নির্দেশে অস্ত্রোপচারের পর থেকে শারীরিক অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রয়েছে। বোর্ডের চিকিৎসক ড. রিজওয়ান খান (Dr Rizwan Khan) স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আইয়ারের সুস্থতার প্রতিটি ধাপ খেয়াল রাখছেন। জানা গিয়েছে, তিনি এখন ফোনে কথা বলছেন। এমনকি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেসেজ চালাচালিও চলছে। স্থানীয় পরিচিতদের দেওয়া ঘরোয়া খাবার খাচ্ছেন বলেও খবর।
ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, অস্ত্রোপচারের পর শ্রেয়সের অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত। আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন হাসপাতালে বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। একজন বোর্ড–কর্তার বক্তব্য, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। এখন আর কোনও জটিলতা নেই। আরও কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, তারপর ছাড়া হবে।’
এদিকে, বিসিসিআই সূত্রে খবর, শ্রেয়সের বাবা-মা শীঘ্রই সিডনিতে পৌঁছবেন। তাঁরা আসলেই প্রকাশ করা হবে বিস্তারিত মেডিক্যাল বুলেটিন। বোর্ড চাইছে, পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পরবর্তী চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের (Rehabilitation) পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হোক। পিটিআই (PTI) জানিয়েছে, জরুরি ভিসার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন শ্রেয়সের বাবা-মা।
প্রসঙ্গত, আজ ক্যানবেরায় (Canberra) সাংবাদিক সম্মেলনে টিম ইন্ডিয়ার (India) টি–২০ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) বলেন, ‘ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন ফোনে উত্তর দিচ্ছে, কথা বলছে—মানে ও ভালো আছে। চিকিৎসকেরা খুব যত্ন নিচ্ছেন। আমরা সবাই ওর পাশে আছি!’ পরে যোগ করেন, ‘যখন মাঠে ক্যাচটা নিয়েছিল, তখন খুব সাধারণ একটা আঘাত ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে জানা গেল, পরিস্থিতি গুরুতর। ডাক্তাররা দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিপদ বাড়তে পারত!’