৬৯ হাজার টাকার সেফটি পিন 'ব্রোচ'! প্রাডার নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে তুমুল শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায় |
‘এখন থেকে তোমায় রোজ দেখব!’ হাতে বিশ্বকাপের ট্যাটু খোদাইয়ের পর আর কী বললেন ‘আপ্লুত’ হরমন?
হাতে বিশ্বকাপের ট্যাটু খোদাইয়ের পর আর কী বললেন ‘আপ্লুত’ হরমন?
বিশ্বকাপ জেতার পর একদম নিজের মতো করে মুহূর্তটা ধরে রাখলেন হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের (Indian Women’s Cricket Team) অধিনায়ক এবার হাতে খোদাই করালেন বিশ্বকাপের (Women’s World Cup 2025) ট্যাটু। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে লিখলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। এখন থেকে প্রতিদিন তোমায় দেখব, কৃতজ্ঞ থাকব।’
ট্যাটুটা করিয়েছেন বাইসেপে। খোদাই করা রয়েছে কাপের ছবি আর জয়ের সাল। সঙ্গে একটি ছোট ক্রিকেট বলের ডিজাইন। হরমনের কথায়, এই ট্যাটু তাঁর কাছে শুধু একটি শিল্প নয়, বরং পরিশ্রম, ধৈর্য আর স্বপ্নপূরণের প্রতীক।
বিশ্বকাপ জয়ের পর দিনই নাকি ট্যাটু করানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সোমবার সকালে মুম্বইয়ে (Mumbai) ট্যাটু স্টুডিওতে যান, ছবি পোস্ট করেন বিকেল নাগাদ। এরপরই দলের সঙ্গে দিল্লিতে (Delhi) উড়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করতে।
এই জয় হরমনের কাছে অন্যরকম। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখানোর পর দেখেছেন অজস্র হতাশা আর স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। ২০১৭ সালে লর্ডসে (Lord’s) ফাইনাল হার, ঠিক আট রানের ব্যবধানে। সেই ম্যাচেই তাঁর ১৭১ রানের ইনিংস আজও কিংবদন্তি। কিন্তু সেদিন কাপ ছিল অধরা।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ। রবিবার নবি মুম্বইয়ের (Navi Mumbai) ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) ৫২ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে ভারত। শেফালি বর্মা (Shafali Verma) ৮৭ রান করেছেন, দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma) নিয়েছেন ৫ উইকেট। অধিনায়ক হিসেবে হরমনের নেতৃত্বও ছিল নিখুঁত—ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত, চাপের মুহূর্তে ধৈর্য।
ফাইনালে হরমনের একটি দৃশ্য সবার মনে গেঁথে—জয় নিশ্চিতের পর ম্যাচ খতম হতেই বাবার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়া। যেন এক লম্বা অপেক্ষাশেষের প্রতীক! আর এবার সেই সমগ্র স্মৃতিকে তিনি ধরে রাখছেন শরীরে। ট্যাটু এখন হরমনের রোজকার সঙ্গী। সকালে আয়নায় তাকালেই চোখে পড়বে বিশ্বকাপ—যার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা। ভারত অধিনায়কের নিজের ভাষায়, ‘শুধু ট্যাটু নয়, এটাই আমায় মনে করিয়ে দেবে আমি কী করে এখানে পৌঁছেছি।’