উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য কী?
ফর্মাল, ধোপদুরস্ত ব্লেজারে হাজির টিম ইন্ডিয়ার প্রমীলা ব্রিগেড। উপলক্ষ্য: বিশ্বকাপ জেতার আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ। একটা গুরুগম্ভীর ঠাট বজায় ছিল শুরু থেকেই। সবাই একই ধারা মেনে কাটকাট সওয়াল করে চলেছিলেন। কিন্তু ক্রিজ ছড়ে বেরিয়ে এলেন এমন একজন, যিনি গোটা অভিযানে কাব্যে উপেক্ষিতা। চর্চায় আসেননি। সেই হারলিন দেওলই (Harleen Deol) কিন্তু বেশ বিপাকে ফেললেন মোদীকে। ছুড়ে দিলেন ছকের বাইরে প্রশ্ন ‘স্যার, আপনার স্কিন তো সবসময় এত গ্লো করে! আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনটা একটু বলবেন?’
সওয়াল শুনে মুহূর্তেই হাসিতে ফেটে পড়ে গোটা দল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেপে রাখতে পারেননি। মুচকি হেসে মোদীর জবাব, ‘ওসব কিছু আমি ভাবিই না!’ সঙ্গে সঙ্গে দলের এক সদস্যের সংযোজন, ‘স্যার, ওটা দেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা!’ যা কানে আসামাত্র আরও এক দফা হাসির রোল সভাকক্ষে।
৪ নভেম্বর দিল্লিতে (New Delhi) বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। শুরুটা ছিল একেবারে আনুষ্ঠানিক—দলের পারফরম্যান্স, টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা, ক্রিকেটের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা চলছিল। ঠিক তখনই হারলিনের ‘কমিক রিলিফ’! দলের প্রধান কোচ অমল মুজুমদারও (Amol Muzumdar) নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না। মজার ছলে টিপ্পনি জুড়ে দেন, ‘স্যার, দেখছেন তো, এমন সব চরিত্র নিয়েই কাজ করতে হয়! তাই আমার চুলে এত পাক ধরেছে!’
একথা বলার পর মুজুমদার আরও একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। ইংল্যান্ড সফরে তাঁদের রাজা চার্লসের (King Charles) সঙ্গে দেখা করার সুযোগ এসেছিল। স্কোয়াডের মোট সদস্য অনেক। কিন্তু নির্দিষ্ট ফ্রেমে ২০ জনের বেশি রাখা সম্ভব নয়। তাহলে কী হবে? সেদিন নাকি দলের মেয়েরা মজার ছলে বলেছিলেন, ‘রাজাকে বাদ দিন, আমরা ছবি তুলব বিশ্বকাপ জেতার পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে!’ খেতাব হাতে তোলার পর হাল্কাচালে বলা কথাটা শেষমেশ সত্যি হয়ে গেল!
প্রসঙ্গত, সাক্ষাৎকালে স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) জানান, তাঁদের লক্ষ্য শুধু ট্রফি জয় নয়, বরং দেশের মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো। প্রধানমন্ত্রীও তাতে সহমত প্রকাশ করে বলেন, ‘এই জয় কেবল ক্রিকেট নয়, নারী শক্তির জয়ের প্রতীক!’
যদিও শেষ পর্যন্ত, আলোচনার মূল বিষয় হয়ে রইল না বিশ্বকাপ, বরং হারলিনের স্কিনকেয়ার প্রশ্ন! মজায়, হাসিতে আর গর্বে ভরা এক বিকেল দলের জন্য এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠল।